সারের অভিষেকে দুর্দান্ত সাকিব, নিয়েছেন ৪ উইকেট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক , এবিসিনিউজবিডি (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) : ইংলিশ ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সারে কাউন্টি ক্লাবের হয়ে অভিষেকে দুর্দান্ত সময় কাটালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বরে) টন্টনে সামারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে নিজের অভিষেক রাঙান ৪ উইকেট নিয়ে। ম্যাচের প্রথম দিনে সামারসেট প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানে গুটিয়ে গেছে। ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব সারের হয়ে সেরা বোলিং করেছেন। ৩৩.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯৭ রানে তার শিকার ৪ উইকেট।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেছিলেন সাকিব। ওস্টারশায়ারের হয়ে ৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। তিন বছর পর ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্ট খেলেন লেস্টারশায়ারের হয়ে। লম্বা বিরতির পর সোমবার আবার কাউন্টিতে ফিরলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
দিনের খেলা শুরুর আগে সাকিবের হাতে সারের ক্যাপ তুলে দেন সারের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অ্যালেক স্টুয়ার্ট। এর আগে, গতকাল সাকিবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন সুযোগ এসেছে-এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল সাকিব আল হাসানকে চুক্তিভুক্ত করার।’
সাকিবও নিজের মান রাখলেন। দ্যুতি ছড়ানো বোলিংয়ে প্রথম দিনটি নিজের করে নিয়েছেন। ম্যাচের ১১তম ওভারে সারের অধিনায়ক ররি বার্নস সাকিবের হাতে বল তুলে দেন। প্রথম স্পেলে সাকিব টানা ১০ ওভার হাত ঘুরান। তার বোলিং স্পেল ছিল এরকম, ১০-৩-২৯-০। বল হাতে বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন নিয়ন্ত্রিত। আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের তারকা খেলোয়াড় চাপে রেখেছিলেন ব্যাটসম্যানদের।
কেবল প্রান্ত বদলের জন্য সাকিবের প্রথম স্পেল ১০ ওভারে থেমে যায়। এরপর বোলিং প্রান্ত পরিবর্তন করে দুই ওভার পরই সাকিব আবার বল হাতে পান। এরপর চা-বিরতির আগ পর্যন্ত টানা ১৮ ওভার হাত ঘুরান। এ সময়ে সাকিবের হাত ধরে সাফল্য পায় সারে।
সাকিব ভাঙেন টম অ্যাবেল ও টম ব্যানটনের ৬২ রানের জুটি। তার আর্ম ডেলিভারি উইকেটে পরে ছোবল দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙে। বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ৪৯ রান করা টম অ্যাবেল। দিনের শেষ প্রান্তে তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে দ্রুত ৩ উইকেট পান। স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে ক্যাসি অ্যালড্রিজকে বোল্ড ও ক্রেইগ ওভারটনকে স্টাম্পড করান। এরপর দিনের শেষ ওভারে তার শিকার হন ব্রেট রান্ডেল। তাকে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব চতুর্থ উইকেটের স্বাদ নেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাকিবের ৩৩.৫ ওভার করা বিরাট ঘটনা। পাঁচ দিনের ম্যাচেও এতোটা বল সাকিবকে খুব একটা করতে দেখা যায়নি। ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে দলের সেরা বোলার হয়েছেন। সারের হয়ে অভিষেকটা তাই নিজের মতো করে নিলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার।