অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবি ছাত্রলীগ নেতা ছুরিকাহত

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির আবাসিক হলে ওঠাকে কেন্দ্র করে তার অনুসারীদের দুই পক্ষের বিরোধে একজন ছুরিকাহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে এ ঘটনা ঘটে।

পায়ে ছুরিকাহত এস এম মেরাজ হোসাইন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঘটনার পর দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আহত মেরাজ হোসাইনের অনুসারীরা দাবি করেছেন, চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহাত হোসেন হিমেল তার পায়ে ছুরি মেরেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হক আবাসিক হলে ফিরে আসার উদ্যোগ নিলে একে কেন্দ্র করেই ছুরি মারার ঘটনা ঘটেছে।”

মামুনুল হকের অনুসারীদের এক পক্ষই গত ২৭ অগাস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তাকে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে তিনি হলে ছিলেন না।

শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, মামুনুলের ফেরার ব্যবস্থা করতে বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রাবাসে আসেন হিমেল। এসময় মেরাজ ও হিমেলের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মেরাজের পায়ে ছুরিকাঘাত করেন হিমেল।

ছুরি মারার বিষয়টি অস্বীকার করে হিমেল বলেন, “মেরাজ দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে ঢুকে আমাকে মারধর করে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। এসময় সে আমার দিকে পিস্তলও তাক করে।

দরজা ভাঙার সময় মেরাজের পা কেটে যেতে পারে, বলেন তিনি।

অন্যদিকে মেরাজের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের সদস্য রুবেল দে বলেন, “হিমেলই ছুরি মেরেছে। তার  ছাত্রত্ব নেই, সে হলে থাকার অধিকার রাখে না “

এ ঘটনার পর মামুনুলের অনুসারী শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভিএক্স’র অনুসারীরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হলে অবস্থান নেয়।

চবি পুলিশ ফাড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এদিকে আহত মেরাজকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

চবি প্রক্টর খান তৌহিদ ওসমান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ