বাংলাদেশি শিশুর পাশে সালমান

SalmanKhanরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কলকাতাঃ নিজের প্রিয় অভিনেতা সালমান খানের দেখা পেয়েছেন ক্যান্সারাক্রান্ত বাংলাদেশি এক শিশু, চিকিৎসার জন্য যে ভারতে রয়েছে।

চার বছর বয়সী মো. ফারহান রানা অপূর্বর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। কলকাতার ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে বলিউড তারকার সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয় ‘মেইক-এ-উইশ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

শুধু চোখের দেখাই নয়, প্রিয় নায়কের সঙ্গে থেকে সিনেমার সেটে গুণ্ডাদের সঙ্গে ফাইটও করেছে অপূর্ব।

‘অ্যাকিউট মেটাস্টিটিক নিউরো প্লাজমা’য় আক্রান্ত দুই বছর ধরে কলকাতার হাসপাতালে রয়েছে। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো এ রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হলে ভারতে নিয়ে যায় তার বাবা-মা।

এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময়ই হিন্দি সিনেমার নায়কের ভক্ত হয়ে ওঠে অপূর্ব। এক বছর আগে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে সে।

অপূর্বর বাবা মো. মাসুদ রানা মিন্টু এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “সালমান খানের দাবাং সিরিজের সিনেমা যে অপূর্ব কত বার দেখেছে, আমি গুণে শেষ করতে পারব না। চিকিৎসার সময় এ সিনেমাই তাকে আনন্দ দিত।”

এ মাসের শুরুর দিকে ‘মেইক-এ-উইশ ফাউন্ডেশন’ অপূর্বকে মুম্বাই নিয়ে সালমানের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয়।

মিন্টু বলেন, “অপূর্বর টিউমার বড় হয়েছে। গত ২০ দিন ধরে কিছুটা কষ্টে থাকার পরও আমি তাকে মুম্বাই যেতে দিয়েছি।”

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিনামূল্যের টিকিটে মুম্বাই যায় অপূর্ব ও তার মা শিখা আক্তার ঊর্মি।

মা-ছেলেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের বারসোভায়। সেখানে ‘মেন্টাল’ সিনেমার শুটিং করছিলেন সালমান খান।

ঊর্মি বলেন, সালমান খান ছিলেন খুবই আন্তরিক এবং তার ধারণার চেয়ে বেশি সময় তাদের দিয়েছেন।

“তিনি আমার ছেলের রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং গুণ্ডাদের সঙ্গে ফাইটের শুটিংয়ে অপূর্বকে অংশ নিতে বলেন।”

“খুশিতে অপূর্ব এখন আকাশে উড়ছে,” বলেন উচ্ছ্বসিত মা-ও।

অপূর্বের মুম্বাই যাত্রার সঙ্গী মেইক-এ-উইশ ফাউন্ডেশনের শকুন্তলা বলেন, “এ সপ্তাহে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা যখন ক্যান্সার হাসপাতালে যায়; সে চোখ খুলে রাখতে পারছিল না। কিন্তু তারপরও তাকে সালমানের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখার জেদ করে।”

“এটাকে আমরা অতি সত্ত্বর পূরণীয় একটি ইচ্ছা হিসেবে নিয়ে মুম্বাই যাওয়ার ব্যবস্থা করি।”

ক্যন্সার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সালমানের সঙ্গে দেখা করার পর শিশুর মানসিক সাহস অনেকখানি বেড়ে গেছে। এখন সে স্যান্ডইউচ ও কোমলপানি খাচ্ছে। কিছু দিন আগেও শুধু দুধ খেত।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ