পোশাক শ্রমিকদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

Garments Sromik andolon গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকরা।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়ে।

নৌমন্ত্রী শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিকালের এই সমাবেশে যোগ দিতে ছুটি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে গাজীপুর ও সাভারের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ ও ভাংচুর চালায়।

সাভারে ভবন ধস এবং আশুলিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুতে বাংলাদেশে পোশাক কারখানার শ্রম পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকার শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

পোশাক শ্রমিকদের দাবি, বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করতে হবে। তবে এই দাবিতে আপত্তি রয়েছে শিল্প মালিকদের।

সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজহান খান শিল্প মালিকদের উদ্দেশে বলেন, “আগে আমাদের পেটে কিছু দিন, পরে না হয় পিঠে কিল মারবেন।”

সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে তা-ও অনুসরণ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সমাবেশের ঘোষণাপত্রে ২০১০ সালের বেতন কাঠামো নির্ধারণে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের কথা তুলে ধরে এবারো তার তৎপরতা প্রত্যাশা করা হয়।

রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যকে দেয়া বিশেষ সুবিধা জিএসপি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। পোশাক শ্রমিকরা জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে সরকারকে জোর তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানান।

পোশাক শ্রমিকদের ‘কটূক্তি’ করায় হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম বন্ধের দাবিও জানানো হয়  গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের এই সমাবেশ থেকে।

শাজাহান খান আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে পোশাক শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

সমাবেশে জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, নাজমা আক্তার, জে এম কামরুল আনাম ও তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ