মহাখালীতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় একটি বাস দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে ওই বাসের চালক, তার সহকারী এবং ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে থাকা একজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে এবিসি নিউজ বিডির নিজস্ব প্রতিবেদক ফারহান ফেরদৌস ও সালাহউদ্দিন ওয়াহেদ প্রীতম জানান, রোবাবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি কাকলী নবকলী পরিবহন নামে ওই বাসকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের চালক ও তার সহকারী এবং ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে থাকা একজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে চালক লিয়াকত হোসেন (৩২) ও ট্রেনের ওই যাত্রীর অবস্থা গুরুতর। তাদের প্রথমে পাশেই আয়েশা মেমোরিয়ালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাস চালকের সহকারী সাজ্জাত এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “রেল লাইনের উপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাসটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ই ট্রেনটি আসতে থাকলে লেভেল ক্রসিংয়ের বারটি নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তড়িঘড়ি করে বাসের যাত্রীরা নেমে যান। আমিও ওস্তাদকে নেমে আসতে বলি। কিন্তু ওস্তাদ গাড়ির মায়া করে ইঞ্জিন চালু করার চেষ্টা চালাতে থাকেন। মুহূর্তের মধ্যে ট্রেনটি এসে আমাদের বাসটিকে ধাক্কা দেয়।”
বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলাম রাব্বানী জানান, বাসটি রেল ক্রসিংয়ে ওঠার পর সেখানে থেমে গেলে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। তড়িঘড়ি করে যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছেন যাত্রীরা।
দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থল থেকে এবিসি নিউজ বিডির রিপোর্টার জানান, রাত সোয়া ১১টার পর উদ্ধারকর্মীরা বাসটিকে সড়ক থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছেন। বাসের সামনের অংশটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
তবে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করায় উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “পৌনে ১১টার দিকে আমি দেখলাম ফার্মগেটমুখী বাসটিকে কমলাপুরমুখী ট্রেনটি ধাক্কা দিল। ধাক্কায় বাসটি ছিটকে রেল ক্রসিংয়ের নিরাপত্তা ঘরের উপর গিয়ে পড়লো। তখন কেউ ভিতরে ছিল কি না তা বুঝি নাই। তবে পরে দেখলাম ড্রাইভার আর হেল্পার আহত অবস্থায় পড়ে আছে।”
ভিতরে কোনো যাত্রী ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “মুহূর্তের মাঝে সব ঘটছে। কিছু বুঝে উঠতে পারি নাই।” আশেপাশের ফুটপাতের দোকানদারদের কাছেও মিলেছে প্রায় একই তথ্য।