এ সম্মান দেশের মানুষের
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নিউ ইয়র্কঃ নিউ ইয়র্ক সফরের প্রথম দিনে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সম্মান বাংলাদেশের মানুষের।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কোঅপারেশনের পক্ষ থেকে এর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস লরেঞ্জা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
ম্যানহাটনে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা ছাড়াও বেশ কটি দেশের সরকার প্রধানসহ কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এই পুরস্কার বাংলাদেশের মানুষের জন্যে এক বিরাট সম্মান।
“বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মহিমান্বিত করতে আমরা সবসময় কাজ করে আসছি। ভবিষ্যতেও করে যাব, কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের কল্যাণে নিবেদিত।”
এই সম্মান শেখ হাসিনা উৎসর্গ করেন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি।
তিনি বলেন, “এমডিজি অর্জনের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে সর্বসাধারণের সার্বিক সহায়তার কারণে। বাংলাদেশের মানুষের এগিয়ে চলার প্রত্যাশা পূরণে মহাজোট সরকার কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও সুযোগ পেলে করে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাউথ সাউথ পুরস্কার বিতরণ করা হলেও শেখ হাসিনা সেদিন অনুপস্থিত থাকায় তাকে সম্মাননা দেয়া হলো একদিন পর।
এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার দেয়া ডিনার পার্টিতে অংশ নেন।
তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেনস কমিটির চেয়ারম্যান পিটার কিং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, বৈঠকে পিটার কিং বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
সন্ত্রাস নির্মূলে শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন পিটার কিং।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টায় প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে পৌঁছালে দীপু মনি, এ কে এ মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের তাকে স্বাগত জানান।
আওয়ামী লীগের প্রবাসী বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এ সময় বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা সরাসরি হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে যান, এই সফরে এই হোটেলেই থাকছেন।
আগামী শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও কমনওয়েলথের মহাসচিব কমলেশ শর্মার সঙ্গেও তার বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে।
সফর শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।