আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্র টেকসই হবে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নিউ ইয়র্কঃ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন গণতন্ত্র ও সাংবিধানকে আরো টেকসই করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার নিউ ইয়র্কে কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মার সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কমলেশ শর্মার ওই বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের সংস্কৃতি চালু করতে হবে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে প্রায় ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে প্রায় ৬৪ হাজার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী সরকারদলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।
এসব নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষতা বা ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি বলেও কমনওয়েলথ মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই। এর বিরোধিতা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধী দল বিএনপি।
কমনওয়েলথ মহাসচিব আগামী নভেম্বরে শ্রীলংকার কলম্বোয় অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদ উজ জামান ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টায় প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে পৌঁছালে দীপু মনি, এ কে এ মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের তাকে স্বাগত জানান।
আগামী শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানী, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও কমনওয়েলথের মহাসচিব কমলেশ শর্মার সঙ্গেও তার বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। সফর শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।