ফতুল্লায় শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পোশাক কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে এবিসি নিউজ বিডির রিপোর্টার জানান, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাঠের পুল এলাকার টাইম সোয়েটার ও মাইক্রো ফাইবার কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এরপর শ্রমিকদের অনেকে আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছে তারা। জবাবে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাসের শেল ও শর্ট গানের গুলি ছুড়ছে পুলিশ। উভয়পক্ষের মধ্যে চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে ফতুল্লার পোস্ট অফিস-হাজিগঞ্জ সড়কে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে সকালে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক অবরোধ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েক দিনের বিক্ষোভ ভাংচুরের পর ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শঅন্তিপূর্ণভাবেই সব চলছিল। তবে এরপর নয়ামাটি এলাকার রূপসী গার্মেন্ট ও মাহাবুবা গার্মেন্টের শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলেও ভাংচুরের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার এএসপি আবদুল্লাহ আল মাসুম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কোনো ভাংচুর বা বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেছি আমরা। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ারও চেষ্টা চলছে।”
এর আগের দুই দিনও শিবু মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ব্যাপক ভাংচুর করে শ্রমিকরা।
এদিকে বুধবার ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত টাইমস স্যুয়েটার্স, ইউরো টেক্স ও সিক গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এলেও তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মালিকপক্ষ জানিয়েছে, কারখানার ভেতরে ভাংচুর হওয়ায় কাজের পরিবেশ নেই। এ কারণেই আপাতত শ্রমিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মেরামত শেষ হলে দুপুরের পর থেকে কাজ শুরু হবে।
আদমজী শিল্প পুলিশ-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ বলেন, “পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। বুধবার বেশ কয়েকটি কারখানার ভেতরে ভাংচুর হওয়ায় শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেয়া হচ্ছে না। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”