রামপাল নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছেঃ প্রেসনোট

Rampal Power Plant রামপাল পাওয়ার প্লান্টরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে সরকারের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে।

রামপাল প্রকেল্পের বিরোধিতায় লংমার্চের প্রেক্ষাপটে তথ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা দেয়া হলো।

প্রেসনোটে বলা হয়, “কতিপয় ব্যক্তি/সংগঠন সরকারের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এটি দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা জনস্বার্থে সরকার বাস্তবায়ন করছে।”

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী ২২ অক্টোবর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন হবে।

কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে পরিবেশবিদসহ রামপালের বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লংমার্চ শুরু করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধীরা বলছেন, সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সুন্দরবনের প্রতিবেশ ধ্বংস করে দেবে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসনোটে বলা হয়েছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার এবং ইউনেস্কোর স্বীকৃত ন্যাশনাল হেরিটেজ সাইট থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে, যাকে ‘নিরাপদ দূরত্বে’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

“এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ও উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।  এতে সাফলার, ফ্লাই অ্যাশ ও অন্যান্য বায়ুদূষণের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে, যা পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ বিরূপভাব ফেলবে না।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে। এ কেন্দ্রের নাম দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, যার সমান অংশীদার থাকছে দুদেশই।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ