আটক ব্যবসায়ীপুত্রকে ছাড়িয়ে নিল ছাত্রলীগ

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধরের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক এক ব্যবসায়ী পুত্রকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা এবিসি নিউজ বিডির বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারসহ অনেকের সামনে ঘটলেও তা অস্বীকার করেছেন সূত্রাপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।

তবে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ উপপরিদর্শক হেমায়েত উদ্দিন নিজের ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করে এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “ছাত্রলীগ তো নিয়ে গেল, আমার কী করার আছে, বলেন।”

তার হাত থেকেই আটক নুসরাত শিকদার ডলারকে ছাড়িয়ে নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। ডলার বাংলা বাজারের এক পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুজিগলিতে একটি দোকানের সামনে বসে থাকা অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মামুন সরকারের ওপর ১৫/২০ জন যুবক হামলা চালায়। তারা মামুনকে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়।

মামুনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ফেটে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের উপপরিদর্শক হেমায়েত লাঠি রডসহ নুসরাতকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন।

নুসরাতকে আটকের খবর শুনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে যান। খবর শুনে এবিসি নিউজ বিডির রিপোর্টারও যান সেখানে।

পুলিশের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বচসা চলে ছাত্রলীগ নেতাদের। রাত ১১টার দিকে নুসরাতকে নিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চলে যান।

এই বিষয়ে সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলে এড়িয়ে চলে যান।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি রফিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ছাত্রদল নেতাকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন।

“মারধরের ঘটনার কথা জানার পর পুলিশ সেখানে যায়, তবে কাউকে পায়নি। তাছাড়া কেউ তাদের কাছে অভিযোগও করেনি।”

উপপরিদর্শক হেমায়েতের বক্তব্য জানানো হলে ওসি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “না তো, হেমায়েত এসব কথা আমাকে বলেনি তো।”

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ