ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কুষ্টিয়াঃ পরীক্ষামূলকভাবে ৫০ মেগাওয়াট সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রে ‘সুইচ অন’ করার মধ্য দিয়ে ভারতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়।
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছয় টাকার বেশি পড়বে না বলে জানিয়েছেন পিডিবির সদস্য (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স) তমাল চক্রবর্তী।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০ মেগাওয়াট করে ভারতীয় বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালিত হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমদানির পরিমাণ বাড়বে।
অন্যদের মধ্যে পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের কনসালটেন্ট টি কে রায়, প্রকল্প পরিচালক কাজী ইশতিয়াক হাসান এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ডিজিএম কলিম আফসার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভেড়ামারায় গিয়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয় দিল্লি থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ওই দিন ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে।
এই আমদানি প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, আমদানির পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়িয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে আড়াইশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নভেম্বর নাগাদ ভারতের বেসরকারি খাত থেকে আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের পাওয়ার ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে।
দুই দেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করতে গত ৩০ অগাস্ট থেকে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়েছে দুই দেশের ভূখণ্ডে। গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য দুই দেশের দুটি সুইচিং স্টেশন বসানো হয়েছে ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায়।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বাংলাদেশের কাছে এই বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। চুক্তি অনুযায়ী পুরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ পেলে বাংলাদেশের লোডশেডিং অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করছেন বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তরা।