রামপালে স্থিতাবস্থা চেয়ে রিট
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রামপাল তাপ বিদ্যুত প্রকল্পে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে।
চার আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রামপালের ওই বিদ্যুত কেন্দ্রের আশপাশের পরিবেশ ও বসবাসরত মানুষের জীবনে এর প্রভাব মূল্যায়নে ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান’ পরিবেশবিদ এবং জীব-বৈচিত্র ও ইকোসিস্টেম বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও চাওয়া হয়েছে এই রিটে।
কমিটির সুপারিশ অনুসারে পরিবেশবান্ধবভাবে অন্য যে কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনে কেন বিবাদীদের নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতেও রুল চেয়েছেন আবেদনকারীরা।
মনজিল মোরসেদ বলেন, “রিট দায়েরের পর আমরা বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চে জমা দিয়েছি। আগামীকাল শুনানি হবে বলে আশা করছি।”
রিট আবেদনে বাদী হিসাবে রয়েছেন আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, মো. একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, মাহবুবুল ইসলাম, সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, জ্বালানী ও বিদ্যুত সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে মনজিল মোরসেদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী ২২ অক্টোবর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন হবে। তবে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে পরিবেশবিদসহ রামপালের বাসিন্দারা।
এই প্রতিবাদের অংশ হিসাবেই ঢাকা থেকে লংমার্চ করে সুন্দরবনে গিয়ে শনিবার সমাবেশ করেন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধীরা।
আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বন্ধ না করলে সুন্দরবন রক্ষায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।