রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেব না
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, খুলনাঃ বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছেন, তার দল রামপালে কোনোভাবেই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেবে না।
এ আন্দোলনে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রোববার খুলনার সার্কিট হাউজ ময়দানে ১৮ দলীয় জোটের এক জনসভায় তিনি এ বলেন, “রামপালে কোনোভাবেই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেয়া হবে না।”
২২ অক্টোবর রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্কি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রামপালে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে উল্লেখ করে এ প্রকল্প বন্ধ করার জন্য ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এবার বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষ থেকেও রামপাল প্রকল্প প্রতিহতের ঘোষণা দেযা হলো।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওই বিদ্যৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতির কোনো কারণ নেই।
সার্কিট হাউজ ময়দানের জনসভায় বিরোধী দলের নেতা বলেন, “আমরা সরকারকে বলেছিলাম দেশের বিদ্যুৎ উত্পাদন বাড়াতে। তারা কি করেছে? তারা কুইক রেন্টাল করেছে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুত বৃদ্ধি হয়নি বরং তারা কুইক টাকা বানিয়েছে।”
খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে তার দলের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করে কোনো প্রকল্প তারা হতে দেবেন না।
এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসা তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, “আপনাদের আন্দোলনের সাথে আমরা আছি। আপনাদের পাশে আছি। ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
বিদ্যুৎ সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে।
এই কেন্দ্রের নাম দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, যার সমান অংশীদার থাকছে দুদেশই।