সম্মান ধরে রাখার আশা প্রধানমন্ত্রীর
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য বিশ্বজুড়ে যে সম্মান বাংলাদেশ পেয়েছে, তা ধরে রাখার আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউ ইয়র্ক থেকে ফিরে সোমবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ প্রকাশ করেন।
দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য পাওয়া সাউথ সাউথ পুরস্কার জনগণের জন্য উত্সর্গ করছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “এই পুরস্কার সকলের, প্রত্যেকটা নাগরিকের।
“যে সম্মান আমরা আন্তর্জাতিকভাবে অর্জন করেছি। তার ধারাবাহিকতা যেন বজায় রাখতে পারি, সে দোয়া করবেন।”
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তখন বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত হচ্ছিল। ক্ষমতায় এলে তারা দেশকে পিছিয়ে নেয়।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সরকার গঠনের পর থেকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই তার প্রমাণ। এমডিজির লক্ষ্য পূরণে সরকার তার প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
“২০২০ সালের মধ্যে একটা মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত হয়ে আমরা যেন ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পারি সেজন্য আমরা কাজ করছি।”
খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডিজির ৪, ৫, ৬ ও ৭ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা অগ্রগামী। দারিদ্র্যের হার ২৬ ভাগের নিচে নেমে এসেছে, ১৯৯১ সালে এটা ছিল ৫৬ভাগ।”
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় পৌছানোর পর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব তাকে অভ্যর্থনা জানান।
ভিআইপি লাউঞ্জে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাহাত খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ ও রামেন্দু মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরা উপলক্ষে দুপুরের পর থেকেই বলাকা ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা।
বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষমান সমর্থকদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
সাউথ সাউথ পুরস্কার পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। এজন্য বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে বিকাল থেকে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন শেখ হাসিনা।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় দেয়া ভাষণে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চান তিনি।
এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।