সাকার ফাঁসির আদেশ

saka choudhuri সাকা চৌধুরী সালাউদ্দিন কাদের salauddin kaderরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক নিধনে অংশ নেয়া এবং নির‌্যাতন কেন্দ্র চালানোর অপরাধে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী সংক্ষেপে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক নিধনে অংশ নেয়া এবং নির‌্যাতন কেন্দ্র চালানোর অপরাধে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী সংক্ষেপে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

গণহত্যায় অংশ নেয়া ছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, হিন্দু বাড়ি দখল, হিন্দুদের দেশান্তরে বাধ্য করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীই হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাংসদ থাকা অবস্থায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডাদেশ পেলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর মঙ্গলবার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি ঘটনায় সা কা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের জন্য আদালতের রায়ে ‘অভিযুক্ত’ জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মিত্র বিএনপির এই নেতাকে আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকার করার নির্দেশ দেন বিচারক।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের রায়ের প্রথম দুটি অংশ পড়ে শোনান।

মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের কীভাবে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীকে নিয়ে হত্যা, লুটপাট চালিয়েছেন, কীভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে ধরে এনে নিজের গুড হিলের বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছেন- তার বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে রায়ে।

বিভিন্ন সময়ে ‘অশালীন ও বিতর্কিত’ মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে থাকা সাকা চৌধুরী এই বিচার চলাকালেও নানা নাটকীয়তার জন্ম দেন।

মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি মুসলিম পরিবারে তার জন্ম, বাঙালি পরিবারে নয়; তার মাতৃভাষা বাংলা নয়, চাঁটগাইয়া।

দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য, আইনজীবীর বদলে নিজেই মামলা পরিচালনা, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী হাতে জবানবন্দি দিতে দাঁড়ানো, বিচারকের প্রতি ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়াসহ বহু ঘটনার জন্ম দেন তিনি বিচারকক্ষে বসে।

তার রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে উপস্থিত জনতা এবং আসামির জেলা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস প্রকাশ করে।

অপরাধ সংঘটনের চার দশকেরও বেশি সময় পরে পাওয়া এই বিচারের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে আপিল করার কথা জানিয়েছেন সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি সপ্তম রায়। আগের ছয়টি রায়ে জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান ছয় নেতাকে দণ্ডাদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

আগের রায়গুলোর দিন বিচার প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে হরতাল ডাকা হলেও এবার রায়ের আগ পর্যন্ত বিএনপি নেতারা ছিলেন কর্যত নিশ্চুপ।

আগের রায়গুলোর সময় জামায়াতের সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকেই ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলেন।

এছাড়া সাকা চৌধুরীর বাড়ি ও নির্বাচনী আসনসহ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি।

সকালে  ট্রাইব্যুনালে আসা সাংবাদিক ও দর্শনার্থীদের বরাবরের মতোই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তল্লাশি করে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

সাকা চৌধুরীকে আগের দিনই কামিশপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে করে।

আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও সকাল থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের ট্রাইব্যুনালের বাইরে জড়ো হতে দেখা যায়। তারা বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করারও দাবি জানান।

বিএনপির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে। তার বাবা মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী এক সময় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকারও হয়েছিলেন।

সালাউদ্দিন কাদেরের রাজনীতির শুরুও মুসলিম লীগ থেকেই। পরে জাতীয় পার্টি ও এনডিপি হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।

একাত্তরের অপরাধের জন্য বিতর্কিত এই রাজনীতিবিদ ১৯৭৯ সালে মুসলিম লীগ থেকে রাউজানের সাংসদ নির্বাচিত হন। সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং কার্যত এর মধ্যে দিয়েই মূল ধারার রাজনীতিতে তার পুনর্বাসন ঘটে।

১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির টিকেটে নির্বাচন করে নিজের এলাকা রাউজান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সাকা। কিন্তু পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে তিনি নির্বাচন করেন নিজের গঠন করা দল এনডিপি থেকে। আবারো তিনি রাউজানের এমপি হন।

এর কিছুদিন পর এনডিপি বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায় এবং ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে সাংসদ নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। পরের নির্বাচনে ২০০১ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে।

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও তিনি পালন করেন।

এছাড়া সামরিক শাসক এরশাদ ও বিএনপির শাসনামলে ত্রাণ ও পুনর্বাসন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন সা কা চৌধুরী।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের র্নিবাচনে রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি থেকে অংশ নেন সাকা।রাঙ্গুনিয়াতে হেরে গেলেও ফটিকছড়ি, অর্থাৎ চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

বর্তমানে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য।

ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর চার ছেলের মধ্যে সাকা চৌধুরীই সবার বড়। তার সেজ ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি। অপর দুই ভাই সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনীতিতে সারসরি যুক্ত নন।

গত দুই দশকে সাকা চৌধুরী বার বার সংবাদপত্রের শিরোনামে এসেছেন তার চটকদার, ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ এবং কখনো কখনো ‘অশালীন’ মন্তব্যের কারণে।

আত্মীয়তা ও পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসের সূত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ফলে নানা নাটকীয় ঘটনার জন্ম দেয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্য করে আলোচনা ও নিন্দা কুড়ান তিনি।

বিএনপিতে থেকেও দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচিত হন দলের ভেতেরেই।

নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সা কা চৌধুরী শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘নেই’ উল্লেখ করলে ‘অসত্য তথ্য’ দেওয়ার কারণে পরে তার সদস্য পদ খারিজের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ‘আইনি সীমাবদ্ধতার’ কারণে বিষয়টি আর এগোয়নি।

মামলার ইতিবৃত্ত

হরতালে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় ২০১০ সালে বিজয় দিবসের সকালে সালাউদ্দিন কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ১৯ ডিসেম্বর।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিলে ১৮ নভেম্বর তা আমলে নেন বিচারক। এরপর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই সাংসদের বিচার শুরু হয়।

প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ওই বছর ৩ মে শুরু হয় এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ।

সালাউদ্দিন কাদেরের পক্ষে এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি নিজেসহ মোট চারজন। অন্য তিনজন হলেন তার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু নিজাম আহমেদ, এশিয়া-প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোমেন চৌধুরী।

সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলামসহ প্রসিকিউশনের মোট ৪১ জন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া আরো চার জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।

২৮ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

ট্রাইব্যুনালের সপ্তম রায়

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়। প্রথম রায়ে গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে।

৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সেই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জনতার দাবির মুখে সরকার ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন আনে। এর মধ্যে দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষেরই আপিলের সমান সুযোগ তৈরি হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এ মামলার চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকে প্রাণদণ্ড দেয়।

ট্রাইব্যুনালের তৃতীয় রায়ে গত ২৮ ফেব্র“য়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি হলে দলটির ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবেই পুলিশসহ নিহত হয় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।

এরপর গত ৯ মে চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান দোসর গোলাম আযমকে গত ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এটি ছিল ট্রাইব্যুনালের পঞ্চম রায়।

ষষ্ঠ রায়ে গত ১৭ জুলাই জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকেও মানবতা-বিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ