৩০ ভাগের বেশি কাজ বাকি রেখে উদ্ভোধন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ত্রিশ ভাগেরও বেশি কাজ বাকি রেখে শুক্রবার উদ্ভোধন করা হচ্ছে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। রাজধানীর গুলিস্তান-যাত্রবাড়ি সড়কে নির্মানাধীন এই ফ্লাইওভারের একটি অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে চারটায় ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, ‘ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ির কুতুবখালী অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে শুক্রবার উদ্ভোধনের পর খুলে দেওয়া হবে।’
নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ২০১০ সালের ২২ জুন সাড়ে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই ফ্লাইওভারের নির্মান কাজ শুরু করা হয়। শুরুর এক বছর পর অর্থের টানাপোড়েনে নির্মান কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান সূত্র আরো জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্মানাধীন এই ফ্লাইওভারের প্রায় ৭০ ভাগের মত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গুলিস্তান থেকে সরাসরি যাত্রাবাড়ী অংশের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ ভাগের মত কাজ এখনো বাকি রয়েছে। এ অবস্থায় তরিঘরি করে এই উদ্ভোধনের পর বাকি কাজে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে বলেও নির্মানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সারে তিন বছর আগে শুরু হওয়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের মূল নকশার গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী অংশের নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখনো এই ফ্লাইওভারের গুলিস্তান থেকে এসে ডেমরা অংশ, যাত্রাবাড়ি থেকে এসে সায়েদাবাদ বিশ্ব রোডের অংশ ও যাত্রাবাড়ি থেকে এসে গুলিস্তান পার হয়ে আলুবাজার লেনের অংশের তেমন কোন কাজই শুরু হয়নি। আর এই অবস্থাতেই শুক্রবার গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী লেনের উদ্ভোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এই ফ্লাইওভার উদ্বোধনের তারিখ পিছিয়েছে চারবার।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, ফ্লাইওভারের মূল লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়িই হচ্ছে মূল লেন। এই লেন উদ্ভোধনের পর বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
উল্লেখ্য, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি’র ব্যাস্ততম সড়কের যানযট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা সিটির প্রয়াত মেয়র মোঃ হানিফের নামে নামকরণ করা এ ফ্লাইওভারের নির্মান কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মান প্রতিষ্ঠান তা করতে পারেনি।