রাজনীতি করার কথা চিন্তাও করি না

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, চট্টগ্রাম থেকে ৬ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করার কথা চিন্তাও করি না। আমি বাসা থেকে কখনো বের হইনি। সবার বউ যার যার স্বামীর জন্য ক্যাম্পেইন করে। আমি এগুলোর মধ্যে ছিলাম না। এখন বাধ্য হয়ে আমাকে নামতে হয়েছে। আমি আমার স্বামীর জন্য যুদ্ধ করছি। দোয়া করবেন যেন যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারি।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ দেন মঙ্গলবার। শুক্রবার বিকেলে এবিসি নিউজ বিডির সিনিয়র রিপোর্টার মনির হোসেন মিন্টুর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।

এবিসি নিউজ বিডি : আপনার স্বামী বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য। তার বিরুদ্ধে এত বড় একটি রায় হওয়ার পর দল থেকে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে সে বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) সমাবেশেও বলেছি। রায়ের পরদিন সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু আমার চাওয়ার নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী সুবিচার পাননি। আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য এর থেকে আর বড় পাওয়ার আর কিছু নেই। এ রায় নিয়ে চট্টগ্রাম, বান্দরবনসহ বিভিন্ন জায়গায় হরতাল হয়েছে। এসব হরতাল বিএনপির তরফ থেকে ডাকা হয়েছিল। বিক্ষোভও হয়েছে, এতো সব না করলেও আমি খুশি থাকতাম। আমি মনে করি, হরতাল-ভাঙচুর করেতো আর আমার স্বামীকে বের করে আনতে পারব না। ওনারা (বিএনপি) যে বলেছেন আমরা সুবিচার পাইনি, আমার জন্য এটাই যথেষ্ট। তারপর যে কর্মসূচি দিয়েছে আমারতো মনে হয় ভাল সফল হয়েছে। চট্টগ্রামেতো স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল হয়েছে। হরতাল হলো নিজের ইচ্ছায় বাসা থেকে বের না হওয়া। আর পিকেটিং করা হয় মানুষকে বাধা দেওয়ার জন্য। আমি মনে করি স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল হয়েছে। কারো পিকেটিং করতে হয়নি। ইত্তেফাক পত্রিকায়ও আমি ছবি দেখলাম হরতালের সময় রাস্তা একদম খালি ছিল।

এবিসি নিউজ বিডি : বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিরোধীদল নির্মূল ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের প্রতিবাদে। তারাতো সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয়নি। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, কর্মসূচি দিয়ে কী হবে। সবচেয়ে বড় জিনিসতো বলেই দিয়েছে ‘সুবিচার পায়নি।’ কর্মসূচি দিলে কী হতো? আমি কিছু পেতাম? তার চেয়ে যেটা বলেছে সেটাই অনেক। আমার কথা হলো ভাঙচুর করে প্রতিক্রিয়া দেখাবার দরকার নেই।

এবিসি নিউজ বিডি : আপনি জানেন একই ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামী তাদের নেতাদের পক্ষে কঠিন প্রতিবাদ জানিয়েছে, সে তুলনায় বিএনপি কী করেছে?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : জামায়াত আর বিএনপি এক জিনিস না। জামায়াত তাদের অস্তিত্বের লড়াই করছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিষয়টি বিএনপির নিজস্ব বিষয় না। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেজন্য দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। এখানে জামায়াতের সঙ্গে আমাদের মেলাবেন কেন? জামায়াতের প্রায় সব নেতাই জেলে, তাদের আন্দোলন অস্তিত্বের জন্য। বিএনপি কেন এসব করবে?

এবিসি নিউজ বিডি : সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা নিয়ে আপনি দীর্ঘদিন ধরে দৌড়াদৌড়ি করছেন। এতে দলের পক্ষ থেকে কি কোনো সহযোগিতা পেয়েছেন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : সেটাতো আপনারাই জানেন, কী সহযোগিতা পেয়েছি? আপনারাই বলেন কী সহযোগিতা পেয়েছি? দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করবে কেন? এটাতো আমার উকিল দিয়ে আমি ফাইট করেছি। এটাতো আমার ফাইট। বিএনপির ফাইট না। জামায়াত দলের ফাইট করে। আর আমার হলো ব্যক্তিগত ফাইট। বিএনপির উকিল কি আমাকে দেবে নাকি?

এবিসি নিউজ বিডি : তিনিতো দলেরও একজন নেতা, সেক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করতে পারে না?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : দলের কেউ যদি কোনো মামলায় পড়ে সেক্ষেত্রে কি দল দেখে নাকি?

এবিসি নিউজ বিডি : দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা উচিত না?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : দলের উচিত কি অনুচিত তা বলতে পারব না। আমি ফাইট করেছি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে। জামায়াত পুরো দলের থেকে ফাইট করেছে। আর আমরা পারিবারিকভাবে ফাইট করেছি। এই যে আলীম সাহেব ওনারাও ব্যক্তিগতভাবে ফাইট করছেন।

এবিসি নিউজ বিডি : আপনি সমাবেশে বক্তৃতায় বলেছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী না।

ফারহাত কাদের চৌধুরী : আমি শুধু গতকাল কেন বলবো? সব সময়ই বলে এসেছি উনি যুদ্ধাপরাধী নন।

এবিসি নিউজ বিডি : হ্যাঁ, আপনি সব সময়ই বলে আসছেন, তো এর পক্ষে আপনার কী কী যুক্তি আছে যে তিনি যুদ্ধাপরাধী নন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : (দীর্ঘ সময় নিয়ে এ প্রশ্নটির উত্তর দেন ফারহাত কাদের) প্রথম যুক্তি হলো আমি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট দিয়েছি, তাতে প্রুফ হয়েছে যে, উনি ৭১ সালের আগস্ট মাসে ওখানে পরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলো আমরা আদালতে দাখিল করেছি। ট্রাইব্যুনাল একসেপ্ট করেছে। কিন্তু পরে সব ইগনোর করেছে। দেখেন ভাই ওনারা যে বলেন, সাক্ষী পেয়ে গেছেন। বাংলাদেশে সাক্ষীর অভাব আছে? এ যে যতগুলি মামলা হয় সাক্ষীর অভাব থাকে। আর একটা কথা চিন্তা করেন, আমাদের ২৩টা ঘটনা। ২৩ দিনের ঘটনা। ওনারা সাক্ষী একটার পর একটা আনলেন। তারপরও এই দুই বছর ধরে কয়টা সাক্ষী নিয়ে আসছেন। আর আমাদের দিল কয়দিন? আমাদের দিযেছে ৫জন। তার মধ্যে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী একজন। থাকে ৪ জন। এ ঘটনা মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমি ৪টা সাক্ষী দিয়েতো কভার করতে পারবো না। এত কম সাক্ষী দিয়ে আমি কীভাবে প্রমাণ করব যে উনি কোথায় ছিলেন? আমাদের সাফাই সাক্ষীতে জাস্টিজ হাসনাইন ছিলেন। ওনাকে দিল না। সালমান এফ রহমান বলতে চেয়েছিলেন উনি এক সঙ্গে ছিলেন। তাকেও সুযোগ দেওয়া হলো না। তারপর শামিম হাসনাইন সাহেব। ওনাকে বলা হলো উনি একজন জাজ, তাকে সমন করা যাবে না। তাহলে সমন যদি করা না যায় কীভাবে আনতে হবে তাতো বলবে। তারা বলবে না কেমনে আনবো। একজন জাজ তিনি আসতে চেয়েছেন, উনি বললেন আমি পারমিশন নিয়ে আসব। চিফ জাস্টিজ বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে আসার পর তার কাছে চিঠি দিলেন পারমিশনের জন্য। চিঠিটাও আমার কাছে আছে। যদি না দেখে থাকেন আমি আপনাকে দেব। ওনার আদালতের প্যাডে লেখা চিঠি। ওটার ভেতরে লেখা ছিল আগস্ট পর্যন্ত আমরা এক সঙ্গে পড়াশুনা করেছি। একজন সিটিং জাজ এটা লিখে পারমিশন চেয়েছেন যে আমি এটা কোর্টে বলতে চাই। ওইটাও আমাদের সুযোগ দেওয়া হলো না। উনি পারমিশন চেয়েছেন। পারমিশন পেলে আসবেন। সেই সময়ও দেওয়া হলো না। এতো তাড়াহুড়া কিসের। এটা কি ট্রায়াল। (সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে) আপনারা যখন পড়বেন তখন বুঝবেন। ভাই আপনারা তো তামাশা দেখছেন। দেশ তো গোল্লায় যাচ্ছে। সবাই তামাশা দেখছেন। যেদিন আপনাদের ওপর পড়বে তখন বুঝবেন ভাই। জুডিশিয়ারির যদি এ অবস্থা হয়। আপনারা দেখছেন আর উল্টাপাল্টা লিখতেছেন। আমি আপনাদের জার্নালিস্টদের অনেক ডকুমেন্টস দিয়েছি। কেউ কোনো কিছু ছাপায় না। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে সবাই ছাপায়। তবে সবাইকে বলব না। কেউ কেউ ভালও আছেন। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট, শামিম হাসনাইন সাহেবের চিঠি আছে। কাইউম রেজা চৌধুরী সাহেব চিফ জাস্টিজের ভাই। শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের বন্ধু। নিজাম আহমেদ লন্ডন থেকে এসেছেন সাক্ষী দেওয়ার জন্য। উনার বাড়ি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বরের বাড়ির পাশে। বাড়ির সঙ্গে একটা গেটও ছিল। এটা পারিবারিক আত্মীয়তার চেয়েও বেশি। উনি এসে বলে গেলেন যে, করাচিতে দেখা হয়েছিল সালাহউদ্দিন কাদেরের সঙ্গে। ওইটাও কি মিথ্যা কথা? যারা চিনতো ওনাকে। ওনার ঘনিষ্ট, পাকিস্তানে ছিল তারাও এসে বলল। আমরা অনেকগুলি এস্টেটমেন্ট দিয়েছি। যাতে বলা আছে ওখানে ছিল। ওনার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা বললেন। অথচ ওনারা (ট্রাইব্যুনাল) এসব দেখলেনই না। তারা কার কথা শুনলেন? ওইসব গ্রামে গঞ্জে, কোনো হিন্দু পাড়াতে আর্মি গেছে। আর্মির সঙ্গে একটা বাঙালি গেছে। ওটা কে ছিল? সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কেমনে চিনলো? একজনও বলেনি আমরা আগে থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে চিনতাম। আপনি চিন্তা করেন ওই আমলে কি কোনো টিভি ছিল? চেনার মতো কোনো উপায় ছিল? এ যে বঙ্গবন্ধুর নাতি-নাতনি, পুতুল-জয়, রেহানার ছেলেপেলে সবাইকে তো টিভিতে দেখা যায়। ওরাওতো ফেমাস মানুষের ছেলে মেয়ে। এখন যদি রেহানার ছেলে বা মেয়ে একটা গ্রামে যায়, তাহলে ওই গ্রামের মানুষ তাদের কি চিনবে? জয়ও যদি যায় চিনতে পারবে?

অথচ আমাদের রায়ে কী লিখেছে? আমাদের রায়ে লিখেছে, যেহেতু ফজলুল কাদের চৌধুরী একজন ফেমাস ব্যক্তি সেজন্য সবাই নাকি সালাহউদ্দিন কাদেরকে চিনতো। ভাল কথা, এ রায়ে যদি ফাঁসি দিয়ে দেয় আমারতো বলার কিছু নেই।

শুনুন আর একটা কথা, ওনারা বলেন, একজন ডাক্তার সাক্ষী দিয়েছেন। ওনারে (সালাহউদ্দিন কাদেরকে) নাকি চট্টগামে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। ওই ডাক্তার সাক্ষী দিয়ে তারপর আমাদের কাছে এসে বলেছে, জোর করে সাক্ষী দেওয়ানো হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, ‘আমাকে জোর করে বলানো হয়েছে। এখন আমি সাক্ষী দিয়ে বিবেকের তাড়নায় আপনাদের কাছে এসেছি।’ উনি (ডাক্তার) এফিটএবিট করে লিখে দিয়েছেন ‘আমি উনাকে কখনো দেখিনি।’ সেই ডাক্তারের লিখিত কপি আছে। আপনি চাইলে সেটাও দেওয়া যাবে। এগুলো সব আমরা দাখিল করেছি। তারা এসব গায়ে লাগায়নি।

আমিতো সমাবেশে বলেছি, এ চল্লিশটা বছর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশের জন্য কি কিছুই করেননি?

আমি এলাকার মানুষের কথা বলছি না, বাংলাদেশের কোনো এলাকার কোনো মানুষের ক্ষতি করেছেন? সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোনো চুরি চামারি করেছেন? এ রকম কিছু কি দেখেছেন? সবাই রাজনীতি করে, বড় দল করে, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাজনীতি করে না। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ব্যবসার টাকা দিয়ে রাজনীতি করেছেন, রাজনীতিতে খরচ করেছেন। এ রকম খুব কম মানুষই আছে।

এবিসি নিউজ বিডি : সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যদি নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে তার আসনে কে নির্বাচন করতে পারেন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : আমিতো মনে করি উনি এসেই নির্বাচন করবেন। আমরাতো ওনার জন্য যুদ্ধ করছি। এটার বাইরে আমি চিন্তাই করি না। আমি এখনো বিশ্বাস করি ইনশাল্লাহ ওনাকে ছাড়িয়ে আনতে পারব। এ দেশের মানুষকে নিয়ে ওনাকে ছাড়িয়ে আনব। দেশের মানুষই আমাকে সাহায্য করবে। তারা দেখছে না যে এতো অন্যায় হচ্ছে? তারা আমার সঙ্গে থাকবে। শুনুন, ওই যে আগরতাল মামলা। আমি শুনেছি আমার শ্বশুরও শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে ছিলেন। আগরতলা মামলায় যদি শেখ মুজিবর রহমানকে বের করে আনতে পারে, তখন আদালত অবমাননা হয় না? তখনো একটা দেশের আদালত ছিল। নাকি পাকিস্তান আমলে সব ভুয়া ছিল।

এবিসি নিউজ বিডি : আপনাদের আইনজীবীর অফিসে পুলিশ শুক্রবার তল্লাশি করেছে বিষয়টি কি আপনি জানেন?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : আমি টিভিতে দেখে ওনাকে ফোন করেছিলাম। উনি নাকি ছিলেন না। উনি নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। আপনারা যা শুনেছেন আমিও তাই শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। উনি নিজেই আইনজীবী। বিষয়টি তিনিই বলবেন। আমার খারাপ লাগছে যে আমার জন্য উনি হয়রানি হচ্ছেন।

এবিসি নিউজ বিডি : আপনার কি রাজনীতিতে আসার চিন্তা ভাবনা আছে?

ফারহাত কাদের চৌধুরী : না ভাই। জীবনে কোনো দিন রাজনীতি করার কথা চিন্তাও করি না। আমি বাসা থেকে কখনো বের হইনি। সবার বউ যার যার স্বামীর জন্য ক্যাম্পেইন করে। আমাকে কি কেউ দেখেছেন? কেউ দেখছে কি না জিজ্ঞাসা করেন? আমি এগুলোর মধ্যে ছিলামই না। এখন বাধ্য হয়ে আমাকে নামতে হয়েছে। আমি আমার স্বামীর জন্য যুদ্ধ করছি। দোয়া করবেন যুদ্ধে যেন জয়লাভ করতে পারি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ