হানিফ ফ্লাইওভারে টোল নিয়ে গণ্ডগোল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চালু হওয়ার একদিনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে টোলের পরিমাণ নিয়ে আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মারামারি বেঁধেছে গাড়িচালকদের।
শনিবার দুপুরে এই মারামারির পর টোল ছাড়াই গাড়ি চলাচল করছে শুক্রবার উদ্বোধন হওয়া দেশের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারে।
পুলিশের ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেছেন,টোলের বিষয়ে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পিপিপির ভিত্তিতে নির্মিত এই উড়াল সড়কটি নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার উদ্বোধনের পর এটি খুলে দেয়া হয়।
সকাল টোল আদায়ের হার নিয়ে গুলিস্থান টোল প্লাজায় আদায়কারীদের সঙ্গে গাড়ি চালকদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা থেকে মারামারি বাঁধে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়।
এরপর বেলা পৌনে ১২টার দিকে টোল দেয়া ছাড়াই ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাড়িচালকরা অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ তুলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
টোল প্লাজার পাশের এক দোকানি বিজয় এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “সকাল ১১টার দিকে কয়েকটি গাড়ির চালকের সঙ্গে টোল প্লাজার কর্মচারীদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।”
এসআই আনোয়ার এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “গাড়ির চালকরা বেশি টোল আদায়ের অভিযোগ করে টাকা দিতে না চাইলে তাদের সঙ্গে টোল প্লাজার কর্মকর্তাদের কথাকাটাকাটি হয় এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি হয়।
“এতে গাড়ির জট বাড়তে থাকলে ওরিয়ন গ্রুপের কয়েকজন কর্মকর্তা টোল আদায় ছাড়াই গাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত দেন। টোলের বিষয়ে আলোচনার করে আবার সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।”
ফ্লাইওভার উদ্বোধন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে টোলের হার দেয়া হয়েছে- টেইলার ২০০ টাকা, ট্রাক ও বাস ১৫০ টাকা, মিনি বাস ১০০ টাকা, পিকআপ ৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ৫০ টাকা, জিপ ৪০ টাকা, প্রাইভেট কার ৩৫ টাকা, অটোরিকশা ১০ টাকা ও দুই চাকার বাহন ৫ টাকা।
তবে টোল প্লাজায় টানানো তালিকায় দেখা যায়, বাস/মিনি বাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২৬০, পিকআপ ১৩০ টাকা, মাইক্রোবাস ৮৫ টাকা, অটোরিকশা ১৮ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জের উৎসব পরিবহনের চালক সোহরাব হোসেন বলেন, “পত্রিকায় প্রকাশিত হারের চেয়ে টোল বেশি নেয়া হচ্ছে। আমরা কেন বেশি টাকা দেব?”
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম জানাতে অস্বীকার করে টোল প্লাজার কর্মচারীরা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তালিকা অনুযায়ী টোল আদায় করছেন তারা। চালকদের অভিযোগের বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।
দোকানি বিজয় বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টোল মওকুফ থাকলেও কর্মচারীরা সকালে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সের কাছ থেকে টোল নিয়েছে।”
এসব বিষয়ে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।