বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হচ্ছে পাইলিন
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানার পর প্রচুর বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়রে ঘূর্ণিঝড় পাইলিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে উড়িষ্যায় পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও পাইলিনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো দিতে পারেনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রবল ঝড়ে তার ছিড়ে উড়িষ্যায় সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎবিহীন।
উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশের অধিকাংশ এলাকায় গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উপকূল অতিক্রম করার পর পাইলিন বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। রোববার সকালে ঝড়ের কেন্দ্র অবস্থান করছিল উড়িষ্যার সম্বলপুর এলাকায়। ওই সময় বাতাসের বেগ কমে এসে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে বইছিল।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে উড়িষ্যার গোপালপুর দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় পাইলিন। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তিন থেকে সাড়ে তিন মিটার (১০ ফুট) জলোচ্ছ্বাস নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ে।
গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঝড় সামনে রেখে শনিবার পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি মানুষকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল থেকে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাক ত্রাণ তৎপরতা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রেখে সেটি বিমানবাহিনীকে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে।
জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮টি হেলিকপ্টার, ১২টি বিমান এবং দুটি যুদ্ধ জাহাজ।
ঝড়ের জন্য শনিবার ট্রেন ও বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ভুবনেশ্বরের বিজু পাটনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। হাওড়া-বিশাখাপত্তম রুটের ৫৬টি ট্রেনেরও যাত্রা বাতিল করা হয়।
এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালিয়ে যায় একটি সুপার সাইক্লোন, যাতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।