বৈঠক শেষে এরিয়ে গেলেন সবাই
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে নির্ধারিত টোলের বেশি টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরশনে সরকারের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন ও নির্মান প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এরিয়ে গেছেন সবাই। দুপুর দু’টায় সিটি কর্পোরেশন দক্ষিনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। দু’ঘন্টার বৈঠক শেষে কোন পক্ষই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। স্বাভাবিক কারণেই জানা যায়নি বৈঠকের সিদ্ধান্ত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে সকালেই জানানো হয়েছিল, গুরুত্বপূর্ন এই তৃপক্ষীয় বৈঠক শেষে টোলের বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করা হবে। ‘কোন পরিবহনের কত টাকা টোল’ তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন সবাই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
যানবাহন শূন্য মেয়র
হানিফ ফ্লাইওভার
রোববার সকাল থেকেই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওঠেনি অনেক বাস, প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, সিএনজি ও হোন্ডা। প্রবেশমুখ থেকে ঘুরে গেছে এমন অনেক পরিবহন। টোল বিষয়ে উদ্বোধনী দিনের ঘোষনার পর প্রায় দিগুন টাকা নেওয়া শুরু করেছিল টোলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। এসব নিয়ে শনিবার যাত্রাবাড়ির টোল প্লাজা এলাকায় অপ্রিতকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। পরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
রোববার সকাল থেকে সারি সারি বাস ও অন্যান্য গাড়ি আগের মতোই নিচের সড়ক থেকে চলাচল করতে দেখা যায়। অবস্থার পরিবর্তন হয়নি এ এলাকার। পরিবহনের মধ্যে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের মধ্যে পরে থাকতে দেখা যায়। আর এ কারণে প্রায় যানবাহনশূন্য ছিল মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার।
গাড়ি চালকদের বক্তব্য- ‘উদ্বোধনের দিন সিটি কর্পোরেশনের দেয়া হারে দেখানো হয়েছে ছোট থেকে ১৪ চাকার গাড়ি জন্য টোল যথাক্রমে পাঁচ থেকে ২০০ টাকা। শনিবার থেকে প্রতিটি বাহনেই নেয়া হচ্ছিল তার দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা। তাই ফ্লাইওভার ব্যবহার করছে না চালকরা।