নির্দলীয় সরকারই চাই
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানলে গণঅভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি সরকারকে দিয়েছেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া।
নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পরদিন শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তবে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে কিছু বলেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে বিএনপি জানিয়েছে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হবে। ওই সময় ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ এবং সংসদও বহাল থাকবে।
এতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দল। ২৫ অক্টোবর সরকার পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এর মধ্যে শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রফিকুল বলেন, “বর্তমান মহাসঙ্কটের জন্য সরকারই দায়ী। তাই সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করুন। নইলে গণঅভ্যুত্থানে আপনাদের পতন নিশ্চিত করা হবে।”
‘বিএনপি না এলে ৪৮টি দল নিয়ে নির্বাচন হবে’- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপিকে বাদ দিয়ে সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায় বলে এইচ টি ইমামদের মুখে এরকম কথা উচ্চারণ হচ্ছে।
“তারা নাম-ঠিকানাবিহীন বিএনএএফের মতো দল বানিয়ে নির্বাচন করতে চায়। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না, হতেও দেয়া হবে না।”
আন্দোলন দমনে বিরোধী দল দমনের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে রফিকুল বলেন, “সরকারের পুলিশ বাহিনী অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাসায় তল্লাসি চালাচ্ছে, হয়রানি করছে। রাষ্ট্র এভাবে হয়রানি করার কোনো অধিকার পুলিশকে দেয়নি।”
সভায় বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “২৫ অক্টোবরের খালেদা জিয়ার জনসভা পণ্ড করতে সরকার নানা কৌশল করছে। জনসভার জন্য অনুমতি চাইলেও এখনো তা দেয়া হয়নি।
“আমরা বলতে চাই, এই সরকারের শেষ দিন ২৫ অক্টোবর। এরপর থেকে তাদের কথা মতো আর দেশ চলবে না।”
স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ওই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম মিয়া, নাগরিক সংসদের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমীন, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।