দলের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বসছেন খালেদা জিয়া

Khaleda jia zia Meeting খালেদা জিয়ারিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে গঠনের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের একদিনের মাথায় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার রাতের এই বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত। ২৫ অক্টোবর সরকার পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঠিক করতে গত ১৫ অক্টোবর স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক ডাকেন তিনি।

এর মধ্যেই গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে তাতে বিরোধী দলের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান আসে।

শনিবার রাতে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে দলের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে খালেদার বৈঠকের সূচি রয়েছে।

বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চলমান আন্দোলন এবং গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাবের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।”

নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নির্বাচনের দিন গণনার শুরুতে ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দিয়েছে। সেই জনসভায় বাধা দেয়া হলে সশস্ত্র প্রতিরোধের হুমকিও দিয়েছে তারা।

শেখ হাসিনা সহিংস সংঘাতের পথ থেকে সরে আসতে বিরোধী দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের ফলে এখন সংসদের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। এই সময়ে সরকারে থাকবে আওয়ামী লীগ; সংসদও বহাল থাকবে।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরকারি দল সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবিধান অনুসরণ করেই নির্বাচনের কথা বলছে।

সংসদের চলতি অধিবেশন ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির।

এর মধ্যে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির বিল সংসদে পাস না করলে ২৫ অক্টোবর থেকে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের বলেছেন, সংসদের চলতি অধিবেশন ২৪ অক্টোবরের পরও চলবে।

দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান এবং প্রস্তুতিতে ২৫ অক্টোবর নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

ওই উৎকণ্ঠার মধ্যে সরকারের বক্তব্য নিয়ে জাতির সামনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ৯০ নব্বই দিনের মধ্যে যাতে নির্বাচন হয়, সেজন্য মহাজোটসহ সবার সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ‘যথাসময়ে’ রাষ্ট্রপতিকে লিখিত পরামর্শ দেবেন।

“এক্ষেত্রে আমি বিরোধী দলের কাছেও পরামর্শ আশা করি।”

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “প্রস্তাবটি আমরা পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ করব। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা হবে।”

এর পর দলের অবস্থান বিএনপি জানাবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ