হিন্দুদের সঙ্গে কোনো দূরত্ব নেই
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব থাকার প্রচারণা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।
শনিবার বিকালে শুভ বিজয়া উপলক্ষে সবংর্ধনার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়া হয়।
ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন শারদীয় দুর্গাপূজা ‘শুভ বিজয়া’ উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সন্মানে এই সবংর্ধনার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “সব সময় আমাদের সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা দেয়া হয়- হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব আছে। এটা সঠিক নয়। আমি বলেছি, সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমরা হিন্দু সম্প্রদায় সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’’
“কোনো ধর্মের মানুষের ওপর কেউ হামলা করলে বিএনপি তা শক্তভাবে প্রতিহত করবে।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে মঞ্চে ওঠার পর উলুধ্বনি দিয়ে দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় বিরোধী দলীয় নেতা হাত তুলে হাসিমুখে তাদের অভিনন্দনের জবাব দেন।
এরপর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সারিবদ্ধভাবে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই সবংর্ধনায় আগত অতিথিদের ভিড় মিলনায়তনে আঙিনা পেরিয়ে ইস্কটান গার্ডেন সড়কে গিয়ে থামে।
ঢাকা নিযুক্ত ভারতীয় উপ হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মন্দির, ইসকনসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও মন্দির পৌরহিতরাও বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে বিএনপির পক্ষ থেকে অতিথিদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করেন। আমাদের ঈদ উৎসব, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ক্রিসমাস ডে এবং বৌদ্ধদের বৌদ্ধ পূণির্মা হয়। আমরা সবাই এসব উৎসব পালন করে থাকি।”
এই সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো জোরদার করার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ও সম্মান নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে খালেদা জিয়া বলেন, “এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সুন্দর পরিবেশ। এখানে রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য রাখব না। রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনা করে আপনাদের জানানো হবে।”
অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আস ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, জয়ন্ত কুমার কুন্ড, অপর্ণা রায়, নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া প্রমুখ নেতারা মঞ্চে ছিলেন।