নয়া পল্টনে যে কোনো মূল্যে জনসভা

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পুলিশি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও শুক্রবার বিকালে যে কোনো মূল্যে নয়া পল্টনে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “সমাবেশ-জনসভা করা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। আমরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার নয়া পল্টনে জনসভার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমরা দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই, জনসভা করবই। জনসভা হবেই।”

রিজভী বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া এ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সরকারকে বলব-গণতন্ত্রের পথে আসুন। সভা-সমাবেশ করার অধিকার ফিরিয়ে দিন।”

অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান (মিডিয়া) এবিসি নিউজ বিডিকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত সরকার এখনও তাদের দেননি।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আগামী শুক্রবার নয়া পল্টন, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান ও পল্টন ময়দানে জনসভার অনুমতি চেয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করে।

এ বিষয়ে রিজভী বলেন, “জনসভার জন্য আমরা আগেই আবেদন জানিয়েছি। আজো আবার আবেদন নিয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে সাংসদ জয়নুল আবদিন ফারুক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আবুল খায়ের ভুঁইয়ার একটি প্রতিনিধিদল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যাচ্ছেন।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকালে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।

জনসভাকে সামনে রেখে ঢাকাসহ  সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ তল্লাসি চালাচ্ছে অভিযোগ করে তার প্রতিবাদ জানান রিজভী।

তিনি বলেন, “সরকারের পুলিশ বাহিনী সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। নেতাদের বাসায় বাসায় হানা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ তাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ভাংচুর করার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা এহেন ঘটনার নিন্দা জানাই।”

রিজভী বলেন, ঢাকার বিভিন্ন থানা, সাভার, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, শ্রীপুর, রূপগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ভোলা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত আট শতাধিক নেতা-কর্মীর বাসায় পুলিশ হানা দিয়েছে।

গত সোমবার রাতে নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর থেকে ছাত্র বিষয়ক সহ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তারেরও নিন্দা জানান তিনি।

রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার পরদিনই সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আজকে শুনলাম- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারা দেশে সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন। এরকম আচরণ হিটলারও করেছিলেন।

“কোনো প্রচলিত আইন ও নাগরিক অধিকারকে সরকার তোয়াক্কা করছে না। প্রধানমন্ত্রী সকালে একটা বলছেন, বিকালে আবার উল্টো কথা বলছেন। তিনি সমঝোতার পথে আসছেন না। দেশে এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। দেশকে নিজের খেলাঘর মনে করছেন”

সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ