কঠোর নিরাপত্তায় বেষ্টিত রাজধানী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তায় বেষ্টনী গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্য নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোন ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় রাজধানীজুড়ে থাকছে সাজোয়াযান।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং বাসভবন, আদালতপাড়া, কূটনীতিকপাড়া, কারাগারসহ সব রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনেদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানয়েছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরপরই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সহিংসতা করতে পারে। তাই বাইতুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লি বেশে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা থাকবেন। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন, টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর, পল্টন, ফকিরাপুর, বায়তুল মোকারম এলাকায়, মতিঝিল, ফার্মগেট, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা, মালিবাগ, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, মিরপুর, গাবতলী, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। নাশকতা এড়াতে মোড়ে মোড়ে পুলিশের সাঁজোয়াযান এপিসি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পর পরই সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকাল থেকে উদ্যান ও আশপাশ এলাকা কঠোর নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, ‘সমাবেশের নামে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।