বিশ্বাসঘাতকদের বিচার হবেই- আরেফিন সিদ্দিক
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, “৭১’এ যুদ্ধাপরাধীরা ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা দেশের পানিতে-মাটিতে-বাতাসে লালিত-পালিত। তার পরও তারা দেশের সঙ্গে বিশ্বাস ঘতকতা করেছে। বাংলাদেশে এদের বিচার হবেই।”
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণজাগরণ মঞ্চের সম্প্রীতি সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, যত বাঁধাই আসুক না কেন, ফাঁসির দাবি থেকে পিছু হটার কোন কারণ নেই।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তরুণ প্রজন্মের এই জাগরণ মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতির পুনর্জাগরণ। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবারো সবার মাঝে সঞ্চারিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিহিংসার জন্য নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যার বিচারের জন্য এই বিচার প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের কার্যকলাপে কোন পরিবর্তন আসেনি। ৭১’ এ এরা মরণ ছোবল হেনেছিল, এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কর্যক্রম শুরু করতেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। যত চেষ্টাই করুক না কেন এই বিচার চলবেই।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী নব্য ফতোয়া বাজ। তিনি শাহবাগের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। আপনি আয়নার সমনে দাঁড়িয়ে দেখুন কে নাস্তিক। আপনি না শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম।
সমাবেশে আর বক্তব্য রাখেন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি পিনাক রায় পিন্টু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার প্রমুখ।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন- গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী, ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফসির, ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি বাপ্পা দিত্য বসু প্রমুখ।
এদিকে, শনিবার সকাল থেকে ফাঁসির দাবির স্লোগানে স্লোগানে জেগে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গণ জাগরণ মঞ্চের এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সকাল দশটার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলায় আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অপরাজেয় বাংলায় নেমেছে জনতার ঢল।
শিক্ষার্থীরা জাগরণ মঞ্চের জনপ্রিয় স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তাদের মাথায় সাঁটা রয়েছে ফাঁসির দাবি। কারো হাতে জাতীয় পতাকা।