বাদশাহ ফয়সালে জামায়াতের গোপন কার্যক্রম!
ঢাকা: রাজধানীর অভিজাত বিদ্যালয় বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটে বসে জামায়াতের মহানগর পশ্চিম অঞ্চলের কার্যক্রম চালানো হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে শ্যামলী রিং রোড এলাকার বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের কাছে আটক হয় জামায়াতের রোকনসহ ১০ নেতাকর্মী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের নামে রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলা ও বোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক করে আসছিল।
এরই অংশ হিসেবে বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও জামায়াতের রোকন মোস্তফা কামাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর ওই বিদ্যালয়ের অফিসের একটি কক্ষে জামায়াতের বিভিন্ন জেলা হতে আসা নেতা নিয়ে বৈঠকে বসেন।
আটক মোস্তফা কামাল এক সময় জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জামায়াতের রোকন নির্বাচিত হন।
উপপুলিশ কমিশনার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে অনেক দিন তারা বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটে বসে হরতালের আগের দিনের কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন নাশকতার সৃষ্টি করে অরাজকতা তৈরির পরিকল্পনা করে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেওয়া হতো।
শুক্রবার রাতে ১০ জনকে আটকের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। শনিবার সকালে আটকদের মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা পুলিশের ওপর হামলা, ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, অনেকদিন থেকেই তারা বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটে গোপন বৈঠক করে আসছিলেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক বৈঠকের উদ্যোক্তা। আর এ জন্য ওই বিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে সোর্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১০ জনকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের অভিজাত বিদ্যালয় বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট থেকে জামায়াতের রোকন মোস্তফা কামাল, জামায়াত নেতা দবিরুল ইসলাম, জালাল আহম্মেদ, মনজুর মোরশেদ, খোন্দকার আব্দুল মোমেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, ধন মিয়া, রুস্তম আলী, আব্দুল মালেক নামে ১০ নেতাকর্মীকে গোপন বৈঠকের সময় আটক করে পুলিশ।