৯৬ ঘন্টায়ও দুই নেত্রীর টেলি সংলাপ হয়নি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আলোচনার বসার আমন্ত্রন জানিয়ে মহাজোট নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি টেলিফোনে কত সময়ের প্রয়োজন? সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে গত চার দিন ধরেই এই টেলিফোনের বিষয়ে প্রচারণা চালানো হলেও এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত দুই নেত্রীর মাঝে বরফ গলাতে টেলিফোন সংলাপ হয়নি।
মহাজোট সরকারের ৪ বছর ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ায় তত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের দাবিতে রাজধানীর বাইরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পরেছে সহিংশতা। গতকাল শুক্রবার এক দিনেই বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৮ দলীয় ৭ জন কর্মী। তার উপর রোববার থেকে আসছে টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল। সব কিছু মিলিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এই সব কিছুরই অবসান হতে পারে আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে দুই নেত্রীর সংলাপে অনুষ্ঠিত হলে। আর এ সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীকে একটি ফোন করবেন বলে সময় ক্ষেপন হয়েছে ৪ দিন অর্থাৎ ৯৬ ঘন্টা। আর এনিয়ে সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, এমন পরিস্থিতি গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পারে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, দেশের মানুষ কি চায়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা নির্বিগ্নে তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কি মনে হয় আমারা সেদিকে যাচ্ছি। আমরা যে দিকে যাচ্ছি, তাতে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। বিষয়টি নিয়ে গোটা দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তাকিয়ে আছেন কখন তারা (দুই নেত্রী) কথা বলবেন। কিন্তু বিরোধী দলীয় নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর একটি ফোন করতে আসলে কত সময়ের প্রয়োজন, দেশবাসীর মত এ প্রশ্ন এখন আমারও।
অধ্যাপক পিয়াস করিম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, দেশবাসী গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফোন সংলাপের। কারণ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপ হলে তাদের মাঝেও একটু শস্তি ফিরে আসবে। গত ২২ অক্টোবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংলাপের আমন্ত্রন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে চিঠিও দিয়ে এলো। তার পরও সংলাপ তো দুরের কথা টেলি সংলাপও হলো না। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যা আমরা গতকালই দেখলাম।