সংলাপের আড়ালে চক্রান্তে সরকার

Faqrul islam Alamgir mirza mirja মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সরকার সংলাপের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলে বিরোধী দল দমনের চক্রান্ত করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “তারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে ভয় পায়।

“একদিকে বিরোধী দল দমন-নির্যাতনে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে, চক্রান্ত করছে। অন্যদিকে সংলাপের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।”

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শুক্রবারের জনসভায় বক্তব্যে নির্বাচননিয়ে সংলাপের উদ্যোগ নিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তা না হলে রোববার থেকে তিন দিনের হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন।

সরকারের দমন-পঢ়ীড়নের মধ্যেও শুক্রবারের ওই জনসভায় হাজির হয়ে মানুষ অভ্যুত্থান সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “সরকার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভয় পায়।”

সরকরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “প্রভাবিত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই চলমান আন্দোলনের পরিসমাপ্তি হবে।”

শুক্রবার সারাদেশে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবিসহ আওয়ামী লীগের হামলায় বিরোধী নেতা-কর্মী নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানান ফখরুল। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাইফুল ইসলাম বাদশা, মিজানুর রহমান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আরিফ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, শরীফ, বাবলু, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শফিকুল ইসলাম, নীলফামারীর জলঢাকায় মোসলেম উদ্দিন নিহত হন এদের মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকায় মোসলেহ উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর, বাকিরা বিএনপিকর্মী।

শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে ৫ শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

ফখরুল বলেন, “সরকার অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে চোরাগলি দিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বলে দিতে চাই, অত্যাচার, চক্রান্ত, সন্ত্রাস, খুন, খুনে বাহিনীর দাপট, কুৎসা রটনা সত্ত্বেও জনগণের আন্দোলন থামবে না।”

সরকার র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবি এর মতো রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে বিরোধী দল ও জনগণের বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র।

“র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সন্ত্রাস দমনের জন্য। আজ এই প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজিবি‘র দায়িত্ব সীমান্ত পাহারা দেয়া। গতকালও সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অথচ ওই বাহিনীকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে জনগণের ন্যায় সঙ্গত দাবির সংগ্রাম দমনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।”

নয়া পল্টনে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকতউল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম ও ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ