চলছে ১৮ দলের ৬০ ঘন্টার হরতাল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল চলছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এ হরতালের ডাক দেয় তারা।
২৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ থেকে এ টানা হরতালের ঘোষণা দেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দল আয়োজিত সমাবেশে শেখ হাসিনাকে নির্দলীয় সরকার নিয়ে সংলাপে বসার জন্য দু’দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আলোচনায় বসুন, অন্যথায় ২৭ অক্টোবর রোববার সকাল ৬টা থেকে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল পালন করা হবে। এরপর আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
অপরদিকে হরতালে পিকেটিংয়ের নামে আন্দোলনকারীদের জ্বালাও-পোড়াও ভাংচুরসহ সব ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সদস্যকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই হরতালের সমর্থনে রাজধানীসহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় সারাদেশে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
রাজধানীর বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। দুই মন্ত্রী, বিচারপতি এবং সিইসির বাসবভনসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। শনিবার সকাল থেকে কিছুক্ষণ পর পর বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে চলে এই সংঘর্ষ।
শনিবার বিকেলে হরতালের সমর্থনে মিছিলের সময় রাজশাহী মহানগরীর কাজলা এলাকায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিবিরের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল সফল করার জন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।