রোববার নিজামীর মামলার যুক্তি উপস্থাপন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার যুক্তি উপস্থাপন রোববার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার মামলার চতুর্থ ও শেষ সাফাই সাক্ষী নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিব মোমেনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।জেরা শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল যুক্তি উপস্থাপনের দিন ঠিক করে এ আদেশ দেন।
৩ নভেম্বর রোববার থেকে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন প্রসিকিউটর এবং ৬, ৭, ১০ ও ১১ নভেম্বর মোট চারদিন আসামিপক্ষকে তাদের যুক্তি উপস্থাপনের সময় বেধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল তার আদেশের আগে প্রসিকিউশনের প্রস্তুতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সাক্ষীর জেরা শেষে আর্গুমেন্ট করার জন্য তিন দিন সময় দিয়েছেন প্রসিকিউশন এবং ডিফেন্সকে চার দিন দিয়েছেন এ নিয়ে মোট সাত দিন সময় বেধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।’
নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিব মোমেন এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী হিসিবে গত ২৪ অক্টোবর সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন। পরে হরতালের কারণে কয়েকদিন বিরতির পর বৃহস্পতিবার তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়।
সাক্ষ্য শেষে তাকে জেরা করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী।
গত ২১ অক্টোবর সোমবার আসামিপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেন পাবনা জেলা আদালতের আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা কেএম হামিদুর রহমান (৬৬), মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন আরেক মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম (৬২), তৃতীয় সাফাই সাক্ষী আবদুস সালাম মুকুল (৫৮) দ্বিতীয় সাক্ষীর বক্তব্যকে সমর্থন করলে তা টেনডারড করা হয়।
জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ও সৈয়দ হায়দার আলী।
নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪ জন সাফাই সাক্ষীর অনুমতি দিয়ে ৬ অক্টোবর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
জামায়াত নেতা নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে এ বছরে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রসিকিউশনের সাক্ষী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন। আসামিপক্ষ এসব সাক্ষীদের জেরা করেছে।
গত বছরের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।