আমরা আ’লীগকে বিশ্বাস করি না

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন,‘আমরা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করি না। গত পাঁচ বছরে তারা আমাদের এবং দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শুক্রবার দুপুরে স্বদেশ জাগরণ পরিষদ (স্বজাপ) আয়োজিত ‘আলোচনার নামে বিভ্রান্তি: গণতান্ত্রিক শক্তির দায়িত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান সেলিম এতে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে রাজনীতি চর্চার পদ্ধতি যতোটা উন্নত এদেশে তেমন নয়। তাই এদেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্পই নেই। এটা শুধু বিএনপি বা ১৮ দলের নয়, বরং সারা দেশের মানুষের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘সমঝোতা না হলে আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। আমরা সহনশীল বলেই আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি দিইনি। বছরে ১৭৩ দিনের হরতাল কিংবা গণহারে মানুষ মারার মতো ঘৃণ্য কাজ আমরা করিনি। এখন কঠোর কর্মসূচি ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘কোনো অবস্থাতে কর্মসূচি শিথিল করা হবে না, বরং ধীরে ধীরে তা কঠোর হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংলাপ চলতে পারে, তবে সংলাপের পাশাপাশি সব ধরনের কর্মসূচিও অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে; যতদিন পর্যন্ত না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য আমাদের দাবি কার্যকর করা না হয়।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘সরকারের তল্পিবাহক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পরে নির্বাচন কমিশনও নতুন করে গঠন করতে হবে। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে, কখন সরকার কী বলবে- তখন তা তারা পালন করবে। নিজে থেকে কোনো দায়িত্ব পালনের কথা তাদের মাথায় নেই।’

হাসিনা-খালেদার  কথোপকথন সম্পর্কে মওদুদ বলেন, ‘যদি সত্যি প্রধানমন্ত্রী সংলাপ চাইতেন, আলোচনার ব্যাপারে আন্তরিক হতেন তাহলে তিনি অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনতেন না। আন্তরিকতা থাকলে এভাবে কখনো কেউ কাউকে দাওয়াত দেন না। হাসিনার উদ্দেশ্য সঠিক ছিল না, লোক দেখানো টেলিফোন ছিল’,বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা খুব তাড়াতাড়িই উপলব্ধি করতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগও লাভবান হবে। তা না হলে একদলীয় নির্বাচনের ফলে আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি হবে তা থেকে তারা কখনোই বেরিয়ে আসতে পারবে না। তাছাড়া নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাস্তবায়ন না করলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এর কলঙ্ক আওয়ামী লীগকে যুগ যুগ বহন করতে হবে।’

মঞ্জুর হোসেন ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান ও খোরশেদ আলম মিয়া, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মো: রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ