সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প নেই
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাযার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তেব্যে এ কথা বলেন তিনি।
২৭-২৯ অক্টোবরের ৬০ ঘণ্টা হরতালে সারা দেশে পুলিশ-র্যাব ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এ গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালে যে সকল নেতাকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এ জানাযা। কঠোর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে। তাহলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো না, কোনো নির্বাচন এ দেশে হতেও দেবো না।’
জানাযায় ইমামতি করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেছারুল ইসলাম।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, জামায়াতের মোবারক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, যুবদলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা জানাযায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২৭-২৯ অক্টোবর ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে সারা দেশে জোটের ২২ নেতাকর্মী পুলিশ-র্যাব ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।