ভৈরবে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার হাজী আসমত কলেজ মাঠে সকাল ১০টা ৮মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা। নামাজে জানাজা পড়ান ভৈরব জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোহাম্মদ জামান। পরে তিনি মোনাজাত পুরিচালনা করেন। এসময় তার রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। জানাজায় অংশ নেন কুলিয়ারচর, ভৈরবের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি লাখো্ মানুষ।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষে সকাল ৯টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। জানাজার আঘে রাষ্ট্রপতির ছেলে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন তার পিতার জন্য দোয়া কামনাসহ তার পিতাকে কোনো অপরাধ করে থাকলে মাফ করে দেওয়ার আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে জানাজার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সেনাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে। তৈরি করা হয় রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাখার মঞ্চ। নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে পুরো হাজী আসমত কলেজ প্রাঙ্গণ।
নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, হাজী আসমত কলেজের মাঠের পাশেই ভৈরব স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারে করে আনা হয় রাষ্ট্রপতির মরদেহ। সকাল সাড়ে ৯টার কিছু আগে সিএমএইচ থেকে তার মরদেহ ভৈরবের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএসএফ সূত্রে জানা গেছে, আসমত আলী কলেজের মাঠে রাষ্ট্রপতির মরদেহ রাখা হবে ৪৫ মিনিট।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারে দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। বুধবার বিকেলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নেওয়া হবে জিল্লুর রহমানের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় মরদেহ পুনরায় নেওয়া হবে বঙ্গভবনে, সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন কূটনীতিকরা।
দুপুর আড়াইটায় জাতীয় ঈদগাহে জানাজার পর বিকেল ৪টায় বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে রাষ্ট্রপতিকে।