আশরাফ-মুঈনুদ্দীনের রায় পাঠ চলছে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পলাতক দুই আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মামলার রায় পাঠ চলছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সকাল ১১টা ৫ মিনিটে রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ ৪১ পৃষ্ঠা পাঠ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম এ রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়ার আগে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের সবাই বেলা ১১টায় এজলাসে আসন গ্রহণ করেন।
রায় পাঠ শুরুর আগে চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘১৫৪ পৃষ্ঠার এ রায়ের মধ্যে ৪১ পৃষ্ঠা পড়া হবে। রায়ের এক কপি প্রসিকিউশনের কাছে যাবে। আর পদাধিকার বলে অ্যাটর্নি জেনালের রায়ের কপি পাবেন।আসামিরা আত্মসমর্পন করলে তারাও রায়ের কপি পাবেন।’
গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলার কার্যক্রম শেষ করার প্রায় ৩১ দিনের মাথায় এ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন আদালত।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার কার্যক্রম শেষে (সিএভি) যে কোনো দিন রায় ঘোষণা হবে বলে অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৪ জুন চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ২ মে দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। দেশে না পাওয়ায় তাদের হাজির হতে দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
১৫ জুলাই সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয়। মোট ২৫ সাক্ষী তাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি পেশ করেন। পরে সাক্ষীদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট’৭৩ এর ৩/২ ধারা অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যা- এ ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধের ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের একজন একাত্তরে আল-বদরের চিফ এক্সিকিউটর আশরাফুজ্জামান খান ও অন্যজন ছিলেন চিফ ইনচার্জ চৌধুরী মুঈনুদ্দীন। আশরাফুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বেজড়া ভাটরা (চিলেরপাড়) গ্রামে। চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বাড়ি ফেনীর দাগনভুঞার চানপুরে।