প্রস্তাব না মেনে সরকারের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ খালেদা জিয়ার প্রস্তাব না মেনে  সরকার কঠোর মনোভাব নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রস্তাবের পরে আমরা আশা করেছিলাম সরকার চোখ-কান খুলবে। কিন্তু সরকার আলোচনার নামে কালক্ষেপন করছে। প্রস্তাব না মেনে  সরকার কঠোর মনোভাব নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। আলোচনা করার কথা বলে, আলোচনা না করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার।’

ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে রোববার দুপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ-২০১৩ বাতিলের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে গ্রামীণ ব্যাংক রক্ষা ও দুর্জন প্রতিরোধকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমি।

দেশের চলমান সংকট প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘দেশের যে সংকট চলছে তা সরকারই সৃষ্টি করেছে। আগামিকাল ভোর থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল শুরু হচ্ছে। হরতাল আরোও কঠোর হবে। আপনারা ঢাকায় আন্দোলন করতে না দিলেও ঢাকার বাইরে কোটি কোটি বিএনপির সমর্থক রয়েছেন তারা ঢাকামুখী হলে আপনার কোনো বাহিনী দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষের দাবি এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এটা করা হলে আর হরতালের প্রয়োজন হবে না। দুই জোটের উচিত আলোচনায় বসে বর্তমান সংকট নিরসন করা। তা না হলে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পরিণতি এরশাদের থেকে ভয়াবহ হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, ‘আপনাকে বলতে চাই যারা অপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে তারা কুপরামর্শ দিচ্ছে। পরামর্শদাতার নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এরা আপনাকে বিপদে ফেলতে চায়। বর্তমান সংকট নিরসনে আপনার উচিত এসব চামচা ও মন্ত্রীদের মুখ বন্ধ রাখা।’

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে রাজনৈতিকভাবে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে। গ্রামীণ ব্যাংককে হলমার্কের মতো খেয়ে ফেলার কাজে লিপ্ত হয়েছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন পাশের তীব্র বিরোধীতা করছি। সরকার সম্মানিত(ড.ইউনূস) ব্যক্তিকে  সম্মান করতে জানে না।’

ফারুক বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক তিন দশক ধরে দেশে ও বিদেশে তাদের কর্মের জন্য প্রচুর সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশের সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি নোবেল বিজয়ী ড.ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের কারণে দেশে ও বিদেশে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছেন।’

সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ড.ইউনূসের সম্মানহানি করছে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত ৮৪ লক্ষ মহিলার ভাগ্য নিয়ে চক্রান্ত করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংগঠনের সভাপতি এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আয়কর আইনজীবী ওবায়দুল হক সরকার, বিএনপি নেতা ও আয়কর আইনজীবী  অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক সরকার বাবলা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, অপরাজেয় বাংলাদেশের সভানেত্রী ফরিদা মুনির শহিদুল্লাহ, গণশক্তি দলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

প্রতিবাদ সভায় সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ