রাখে আল্লাহ মারে কে

sheikh shekh hasina শেখ হাসিনা সমাবেশসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীকে আলোচনার আহ্বান করা হয়েছিল। তিনি জবাব দিলেন শাপলা চত্বরের হেফাজতের জনসমাবেশর মাধ্যমে। তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। রাখে আল্লাহ মারে কে। আমি এখনও ক্ষমতায় আছি।

এসময় তিনি হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, ইসলাম হেফাজতের নামে যারা কুরআন শরীফ পোড়ায়, মসজিদে আগুন দেয় তারা কীভাবে ইসলামের হেফাজত করবে? রোববার বিকেলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদ চার নেতার স্মরণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জীবনে কোনো পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। পাস করেছেন লুটপাট, হরতাল ও বোমায়। তাই তিনি হরতাল দিয়ে কোমলমতি শিশুদের মন ভাঙছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হরতাল প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, হরতালের মাধ্যমে আপনি ২১ লাখ শিক্ষার্থীর মন ভেঙেছেন। তাদের উজ্জল ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাকে বারবার হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনার অনুরোধ করেছি। আপনি তা না শুনে বার বার হরতাল দিয়ে যাচ্ছেন। হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা করে তাদের ভাগ্য নিয়ে খেলবেন না। এসময় তিনি প্রত্যেক এলাকায় ও মহল্লায় হরতাল প্রতিরোধের জন্য সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে হত্যাকারীদের জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছেন। আর খালেদা জিয়া সেদিনের জনসভায় একাত্তরের খুনিদের মুক্ত করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। শুধু তাই নয় যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী বানিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছিল। আর এখন খালেদা জিয়া বলছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে সকল যুদ্ধপরাধীকে মুক্ত করে দিবেন। বিডিআর হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিএনএন এর প্রতিবেদনের প্রমাণ হয়েছে বিডিআর কর্মকর্তাকে হত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার অঙ্গীকার করেছিলাম। তার প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন। আজও (রোববার) দুইজনের রায় হয়েছে। আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতা হরতাল দিয়ে বিচার বানচালের চেষ্টা করছেন।

নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, এ সরকারের আমলে প্রতিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচনও সময়মতো সাংবিধানিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, দপ্তরবিহীনমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. নাসিম, আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ