মাওয়া মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, মুন্সীগঞ্জঃ টানা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের দুই পয়েন্ট  রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

মহাসড়কের শ্রীনগর ছনবাড়ী চৌরাস্তা পয়েন্টে প্রায় পৌনে একঘণ্টাব্যাপী সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ৪৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে ২০ বিএনপি কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

অপরদিকে মহাসড়কের সিরাজদিখান কুচিয়ামোড়া পয়েন্টে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বিএনপির পিকেটাররা। এ সময় তারা একটি বাস ও ৩টি সিএনজি ভাঙচুর করে। পিকেটারদের সরাতে পুলিশ এখানে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৫জন।

জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিন আলী ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মী নিয়ে একটি বিশাল মিছিল মহাসড়কের ছনবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে বাধা দেয়।  এসময় প্রায় পৌনে একঘণ্টাব্যাপী সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে ৩০জন বিএনপি কর্মী আহত হয় । আহতদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিন আলী , সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুবদলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জেমস , সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ,মাসুদ রানা , শামীম ,ইদ্রিস ,আজিম ,মোজাম্মেল হোসেন , শামসুল হক নয়ন, দীন ইসলাম

সহ প্রায় ২০ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের ঢাকাসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বরে জানা যায়। সংঘর্ষকালে মহাসড়কে সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জানান , বিএনপি কর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ৪ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৩৯ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। বর্তমানে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে  সকাল সাড়ে ৮টায় মহাসড়কের সিরাজদিখান কুচিয়ামোড়া পয়েন্টে ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ করে বিএনপির পিকেটাররা। এ সময় তারা একটি বাস ও ৩টি সিএনজি ভাঙচুর করে। এ সময় পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল আহমেদ, শ্রমিকদলের বাদশা মিয়াসহ ৫জন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ