আইন করেই পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক হচ্ছে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে বিশেষায়িত ব্যাংক ‘পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক’ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভার অনুমোদন ও জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার পর ব্যাংক হিসেবে স্থাপন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিলাম পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক স্থাপন করব। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি আইন তৈরি করে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আগামী সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এরপর প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে জাতীয় সংসদে তা উত্থাপন করা হবে। জাতীয় সংসদে পাশ হলে ব্যাংক স্থাপন করা হবে। আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ বসবে, সেই সময় তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় সেবা দিতে এবং ঋণ বিতরণের জন্য একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে বর্তমানে ১০ লাখ ৩৮ হাজার সুবিধাভোগী পরিবার রয়েছে। সুবিধাভোগী পরিবারের জন্য এক হাজার ৩৩২ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে।
বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় আইনের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যংাকের ন্যয় অ-তফসিলি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে সরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো বিশেষায়িত ব্যাংক হবে। তবে গ্রামীন ব্যাংকের যে ফল্ট ছিলো তা থাকবে না এই ব্যাংকে। যদিও বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক আইন করে এই ত্রুটি দূর করেছে সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক স্থাপন করতে চাইলে পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৪শ’ কোটি টাকাসহ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। আর ১৯৯১ সালের কোম্পানী আইনের ৩১ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদোগে গত ৩০ জুলাই একনেক সভায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতামতের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির আলোকে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দেয়।