সরকারের কাজে সহায়তা করবে সচিবরা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত বর্তমান সরকারের কাজে সহায়তা করে যাবেন সচিবরা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সচিব সভা শেষে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের একথা জানান। সচিব সভায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের ৫৪ জন সচিব উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২৪ জন সচিব বক্তব্য রাখেন।
সংবিধানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচন সম্পর্কে সংবিধানে বিশেষ করে ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করা সকল নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য হইবে। তাই আমরা প্রস্তত নির্বাচন কমিশনকে সে সময় যে ধরনের সহায়তা করা দরকার তা আমরা করব।’
প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে পত্রিকার রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো প্রমাণ নেই।’
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী মন্ত্রীসভা শপথ না নেয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রীসভা বহাল থাকে। সেই মন্ত্রীসভা হ্রদ-বদল হতে পারে। কিন্ত প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে পুরো মন্ত্রীসভার পদত্যাগ করা হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, পরবর্তী সরকার না আসা পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রীসভা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী যেই থাকুক না কেন আমরা তার নেতৃত্বেই থাকব। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলে, মন্ত্রী সভার বৃত্তের পরিধি একটাই। মন্ত্রীসভা সর্বদাই মন্ত্রীসভা। সেটা ১৫ জন কিংবা ৫০ জনের হতে পারে কিন্ত এর শক্তি একই।
তিনি আরো বলেন, পুনর্গঠিত মন্ত্রীসভা একদলীয় না বহুদলীয় সেটা আমাদের জন্য কোনো বিষয় নয়। মন্ত্রীসভায় কোন দলের প্রতিনিধি থাকবেন সেটাও আমাদের বিষয় নয়।
সচিব বলেন, সংবিধানে বলা নেই নির্বাচন পূর্ব সরকারের মন্ত্রীরা এই এই কাজ করতে পারবেন না। আর নির্বাচনকালীন মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রন করবে নির্বাচন কমিশন তাদের আচরন বিধি দিয়ে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমান সংবিধান সরকারের (নির্বাচনকালীন) ক্ষমতা সীমিত করে নাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উপদেষ্টারা যে কাজ করতে পেরেছেন নির্বাচনকালীন মন্ত্রীরাও সে কাজ করতে পারবেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার উল্লেখ করে সচিব বলেন, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীসভা ছোট করা বাধ্যকতা নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ছোট করবেন। ছোট করলে কাউকে না কাউকে চলে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, মন্ত্রীসভায় যারা আছেন তারা কেউ চলে যাবেন কেউ থাকবেন। কিন্ত আবার নতুন কেউ আসবেন। অন্যদল থেকে কারা আসবেন সেটাতো রাজনৈতিক ও আলোচনার বিষয়।
নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো সংশয় আছে কীনা এমন প্রশ্নে মোশাররাফ বলেন, সিনিয়র লেভেলে কোনো সংশয় নেই। জুনিয়র লেভেলে থাকলে তা ঠিক করে নয়ো হবে।
তিনি বলেন, নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত এই সরকারের কাজে সহায়তা করা হবে। এছাড়া কে কাকে ভোট দেবে সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমাদের দায়িত্ব নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা।
সচিব সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হবে ৪০ হাজারেরও উপরে। ভোটার সংখ্যা হবে ৯ কোটির বেশি।