সাহস থাকলে এমপিরা পদত্যাগ করে এলাকায় যান
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলছেন, ‘মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেই হবে না। প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘
সাহস থাকলে আওয়ামী লীগের এমপিরা পদত্যাগ করে নিজ নিজ এলাকায় যেয়ে দেখেন। জনগণ আপনাদের কিভাবে গ্রহণ করে তখন বুঝতে পারবেন।’
১৮ দলীয় জোটের তৃতীয় দফায় টানা ৮৪ ঘন্টা হরতালের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘হরতালকারীদের দেখে নেবো’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘নতুন নতুন পন্থায় বিরোধী দল দমনের পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত আছে, তার এ বক্তব্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।’
দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্মমহাসচিব রিজভী দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে সংলাপের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে আলোচনায় অংশ নিলে হরতাল প্রত্যাহার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই সংলাপের পথ খুলবে। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।’
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে রিজভী বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বিরোধী দলের দায় থাকলেও সরকারকেই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্যোগ নিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সংলাপের ব্যাপারে আন্তরিক না হয়ে টালবাহানা করে একতরফাভাবে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের নীল নকশা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সরকার বরাবরের মতো বিরোধী দল দমনে নির্যাতন নিপীড়নও অব্যাহত রেখেছে।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের বাসায় সোমবারের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি এ ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেন।
জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যত দিন যাবে আন্দোলন ততই তীব্র হবে।’
হরতালের তৃতীয় দিনে গত দুদিনের মতো নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিত রয়েছে। বিএনপি অফিসের মূল ফটকে তালা লাগানো। পুলিশের কড়া প্রহরায় থাকা বিএনপির এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক ছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।