প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেই সমাধান

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মন্ত্রিসভা রূপান্তর নয়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেই সঙ্কট সমাধানের পথ উন্মুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকেলে টেলিফোনে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, মন্ত্রিসভা রূপান্তরে মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমা নেওয়ার ঘটনা সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে আমরা মনে করি। এরকম কার্যক্রম সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, মন্ত্রিসভা রূপান্তরে সঙ্কটের সমাধান আসবে না। সমাধান চাইলে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। এতে সংলাপের বন্ধ পথ উন্মুক্ত হবে বলে আমরা মনে করি।

সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় প্রধানের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিরাপদ স্থান থেকে দলের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, এই সঙ্কট পরিকল্পিতভাবে তারা সৃষ্টি করেছে। মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে যে ছেলেমানুষী নাটক করেছেন, তাতে চলমান সঙ্কট আরও জটিলতর হয়েছে। দেশের মানুষ বুঝে গেছে তারা (সরকার ) সঙ্কট সমাধান না করে নানারকম কৌশলের পথ বেছে নিয়েছে।

সঙ্কট সমাধানে আবারও সরকারকে সংলাপে বসার আহবান জানিয়ে দলের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে, সংলাপে বসতে হবে।

বিরোধী দলের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে চাই, তাও করতে দেওয়া হচ্ছে না। সভা-সমাবেশ-মিছিলের ওপর আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবন ও তার কার্যালয়সহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। একথায় সরকার গণতন্ত্রকে আজ অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। বিরোধীদলকে কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিরোধীদল দমন-পীড়নের পথ থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আশা করি সরকার সরল ও সোজা পথে ফিরে আসবে। সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেবে। অন্যথায় নির্দলীয় সরকারের দাবির ফয়সালা রাজপথে গণঅভ্যুত্থানে হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিরোধীদলীয় নেতার শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে সময়ক্ষেপণ না করে অবিলম্বে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুক্তি দিন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ