আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনে গুলি চালাবে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ হরতালে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, যদি গুলি করার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে তা-ই করতে হবে।
বুধবার গণভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।
বিরোধী দল প্রতিবাদের নামে সন্ত্রাস করছে অভিযোগ করে জয় বলেন, যে ভয়ঙ্করভাবে মানুষকে আহত করা হয়েছে, তা অকল্পনীয়। নিজের চোখে না দেখলে কল্পনা করা যায় না। এটা প্রতিবাদ নয় সন্ত্রাস, খুন।
তিনি বলেন, তারা (বিরোধী দল) ক্ষমতায় না আসতেই মিথ্যাচার করছে। তারা যখনই কোনো আইনি বিষয়ে কথা বলে, সেটকে অবৈধ বা অসাংবিধানিক বলে। অথচ আইনি যেকোনো বিষয়গুলো পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে, ভুল বুঝিয়ে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
জয় বলেন, ৭৫ এর পরে কোনো বৈধ ও আইনগত নির্বাচন হয়নি। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সময় ২০০১ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে এক মুহূর্তের জন্যও অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার আসতে পারে না। আওয়ামী লীগ কোনো দিন সংবিধান লঙ্ঘন করেনি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দলের সৃষ্টি, তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের বিরোধী দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে নির্বাচনে কারচুপি করেছে। আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচনে কারচুপি করেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি যতবার সংবিধান সংশোধন করেছে, সব অবৈধ। আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমরা এমন সব পথ বন্ধ করে দিয়েছি।
যারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পোড়ায়, যারা এর পরিকল্পনা করে ও অর্থের যোগান দেয় তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। তাদের নেতাদের গ্রেফতার করে চার্জ করা উচিত বলে মনে করেন জয়।
ভবিষ্যতে কোনো সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করতে না পারে ও নির্বাচনে কারচুপি না করতে পারে সেজন্য সকল আইজীবীদের মাঠে নেমে পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্য প্রচারে আপনারা এখনই মাঠে নেমে পড়ুন। এটা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ লড়াই। আমরা বিজয়ী হবই।’
ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউছুফ হোসেন হুমায়ূন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিন মেহেদি, ঢাকা বারের সভাপতি নজিবুল্লাহ হিরো প্রমুখ।