বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, বাগেরহাটঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উদৎপাদন কেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নানা ধরনের অপ্রচার চলছে। চাঁদাবাজি করতে পারবেন না বলেই কেউ কেউ রামপাল নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপাল শ্রীফলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থাকবে না। এলাকার মানুষের কর্মের সংস্থান হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে জনগণের ভ্যগ্যের উন্নয়ন ঘটে। এ সরকার দেশে শিক্ষা, তথ্য, চিকিৎসা, খাদ্য, উন্নয়ন, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে গরিব মানুষদের সাহায্য দিয়েছে। বয়স্ক, মাতৃকালিন, বিধবাদের ভাতা দিয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়িয়েছে।’

আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ ও একটি করে স্কুল সরকারি করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ লুটপাট করে। তারা দেশের উন্নয়নমূলক সব কাজ বন্ধ করে দেবে।’

রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকাদর আব্দুল খালেক। এ সময় আরও উপস্থিতি ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জালানি বিয়ক উপদেষ্ট তৌফিক এলাহী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমীর হোসেন আমু ও তোফায়েল আহম্মেদ।

জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ১২টি বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত খানজাহান আলী কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তৃতা করেন।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন মুসলমান হয়ে আর একজন মুসলমানকে আগুন দিয়ে কিভাবে পুড়িয়ে হত্যা করেতে পারে। এরা কি মানুষের জাত। বিএনপি-জামায়াত শত শত কোরআন শরিফ ও জায়নামাজ আগুন দিয়ে পুড়িছে। হরতালের নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। যারা মানুষ হত্যা করে তারা দেশের উন্নয়ন কিভাবে করবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা করেন।

খানজাহান আলী কলেজ মাঠের জনসভা শেষে সেখানেও প্রধানমন্ত্রী ১৮টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মংলা উপজেলার জয়মনিরঘোল এলাকায় পশুর নদীর তীরে ৫০ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন খাদ্য সংরক্ষণাগার (সাইলো) নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ