ফখরুলের ফোন রিসিভ করছেন না আশরাফ

fokhrul fakhrul ashraf  ফখরুল ইসলাম আশরাফসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দুই বৃহৎ দলের মহাসচিবের মধ্যে টেলিফোনে কথা হলেও সংলাপের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকালে তিনি  সংলাপ সম্পর্কে নিজের উদ্যোগের কথা ব্যাখ্যা করে বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধানে আমরা বার বার সরকারকে সংলাপে বসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি। কিন্তু তাদের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখছি না।

গত দুইদিন যাবত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আমি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাহেবকে টেলিফোনে পাচ্ছি না। দুই দিন ধরে তার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি। টেলিফোনে তার কোনো জবাব পাচিছ না।

তিনি জানান, গত ১০ নভেম্বর সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে তার  টেলিফোনে কথা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওই সময়ে তাকে সংলাপে বসার উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, তিন-চারজনের প্রতিনিধি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। সৈয়দ আশরাফ সাহেব বলেছিলেন, সংলাপে বসতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে। তার সঙ্গে আলাপ করে আমাকে বিষয়টি জানাবেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। এরপর তার (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) কাছে থেকে এখনো কোনো টেলিফোন পাইনি। পরে আমিই যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছি।

সংলাপের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সব সময় বলে এসেছি আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। আমাদের নেত্রী সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে টেলিফোনেও কথা বলেছেন।

বিরোধী দলীয় নেতা ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার পর যেকোনো সময়ে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন।

বিরোধী দলীয় নেতার সংবাদ সম্মেলনের পর মির্জা ফখরুল সংলাপে বসতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে লিখিত চিঠি দেন। ওই চিঠি গ্রহণ করে দুই মহাসচিব টেলিফোনেও কথা বলেছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দাবি পরিস্কার। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা। এ বিষয়ে আমরা একটি সমাধান চাই। কেবল আমরা নয়, এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মনে করে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হতে পারে। আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশসমূহও মনে করে, দেশে সব দলের অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয় একটি সরকারের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, সংকট নিরসনে সংলাপে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। তাদের উদ্যোগ নেই। সব মিলে আমার কাছে মনে হচ্ছে- সরকার সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না। তারা একদলীয় নির্বাচনের নীল নকশার পথে হাটছে।

ফখরুল বলেন, সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে, সমঝোতার লক্ষে দ্রুত সংলাপে বসুন। সংলাপ না করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, সংকট নিরসন না হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ