বিএনপির পাঁচ নেতার জামিন শুনানি শেষ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ারসহ শীর্ষ পাঁচ নেতার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। যেকোনো সময় এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জরুহুল হকের আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।
পাঁচনেতার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম লিটন, অ্যাডভোকেট জাহেদুল ইসলাম কোয়েল, অ্যাডভোকেট মো. মহসিন মিয়া।
এরআগে গত ১৭ নভেম্বর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ারসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দেওয়া রিমান্ড আদেশ স্থগিত করেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।
তাদের রিমান্ড আদেশ স্থগিত করে প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট তার আদেশে বলেন, মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে পাঠাতে হবে। পুলিশ প্রয়োজনে কারা ফটকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
১৪ নভেম্বর হরতালে সহিংতার অভিযোগের দায়ের করা দুই মামলায় এ পাঁচ নেতাকে আটদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালত।
৯ নভেম্বর বিএনপির এই পাঁচ নেতাকে আদালতে হাজির করে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১৪ নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মতিঝিল থানার ৪৪(৯)১৩ নম্বর মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তথ্যমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশমতে ২৪ সেপ্টেম্বর সোয়া ১২টার দিকে এজাহার নামীয় ৫৪ জন আসামিসহ অজ্ঞতানামারা মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ঝটিকা মিছিল বের করে রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
মতিঝিল থানার ১৬(১১)১৩ নম্বর মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর হরতালের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুর বাজার রোডস্থ নিউ আনার কলি বেকারির বিপরীত দিকের রাস্তায় উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশমতো এজাহারনামীয় ৭৪ জন আসামি রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
৮ নভেম্বর রাতে বিএনপরি এই পাঁচ নেতাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।