মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: ১৭তম বর্ষপূর্তি
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ১৭তম বর্ষপূর্তি শুক্রবার। মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ বস্তু আছে এই জাদুঘরে।এর উদ্বোধন হয় ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ।
ঢাকার ৫নং সেগুনবাগিচায় অবস্থিত এই জাদুঘরটি বাংলাদেশে মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক প্রথম জাদুঘর। একটি ভবন ভাড়া নিয়ে যথাযথ সংস্কার শেষে ১৯৯৬ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই দিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সর্বসাধারণের জন্য খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এই জাদুঘরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ করা। এর বিশেষ লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়ে সচেতন করে তোলা, যার ফলে তারা মাতৃভূমির জন্য গর্ব ও দেশাত্ববোধে উদ্দীপ্ত হবে এবং উদার অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হবে।
বর্তমানে জাদুঘটির সীমিত পরিসরে প্রায় ১৪০০ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভাণ্ডারে জমা হয়েছে ১৫,০০০-এরও বেশি স্মারক। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিরপুরে মুসলিম বাজার ও জল্লাদখানা বধ্যভূমি খননের কাজ সম্পন্ন করে এবং পরে (২০০৮ সালে) জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিপীঠ নির্মাণ করে।
এছাড়া এর রয়েছে একটি ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। একটি বৃহৎ আকারের বাসের অভ্যন্তরে প্রদর্শনী সাজিয়ে একে পরিণত করা হয়েছে খুদে জাদুঘরে। বাংলাদেশ জুড়ে পরিভ্রমণ দ্বারা বাসটি জেলা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে।
এগুলো ছাড়াও জাদুঘরটির আরো অনেক কর্মসূচি রয়েছে।যেমন আউটরিচ কর্মসূচি- এর কাজ ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় শিক্ষার্থীদের পরিবহন যোগে জাদুঘর পরিদর্শনে নিয়ে আসা।