ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ মার্কিন প্রতিষ্ঠান
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রানা প্লাজা ও তাজরীনের মতো বাংলাদেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাচ্ছেনা ওয়ালমার্ট ও সিয়ার্সসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। খবর-নিউইয়র্ক টাইমস।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি তহবিল গঠনের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্ক ছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠানেরই কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। প্রাইমার্ক দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যে হতাহতদের পেছনে ৩০ লাখের বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছে। কিন্তু এ ধরণের তথ্যের সত্যতা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।
শ্রম সংস্থা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে, ভয়াবহ দুটি বিপর্যয়ের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে শুধু তাদের পরিবারকেই নয় যারা গুরুতর আহত হয়েছে তাদের পরিবারও মারাত্বক দুর্ভোগের মধ্যে জীবনযাপন করছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক দায়িত্ব। ওই দুটি ঘটনায় ১২শরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো সহস্রাধিক। এদের অনেকেই এখন হাসপাতালে হাতপা হারিয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছে।
প্রধমদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত তহবিল গঠন করতে রাজি হলেও পরে তারা পিছিয়ে আসে। ওয়ালমার্ট ও সিয়ার্স এর মত মার্কিন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কোন ক্ষতিপূরণ দিতে চাচ্ছেনা। সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠান দুটি দাবি করেছে, পরিবেশক কোম্পানিগুলো তাদের পূর্বানুমতি ছাড়াই তাজরীন থেকে পোশাক সরবরাহ করেছে। সিয়ার্স ও ওয়ালমার্টের কোন শ্রমিক সরাসরি বাংলাদেশে কাজ করেনা। তাই আইনত এ দুটি প্রতিষ্ঠান তাজরীন ও রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নয়। অন্যদিকে প্রাইমার্ক বলেছে, তারা ইতোমধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি টাকা খরচ করে ফেলেছে। এছাড়া আহতদের ওষুধের পেছনে বেশ কিছু অর্থ খরচ করেছে। আর কোন অর্থ খরচ করতে তারা রাজি নয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডআরিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আকতার বলেছেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ইউরোপের অনেক কোম্পানির কাছ থেকে বেশ ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোম্পানির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এক পয়সাও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি।