ফখরুলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ খসড়া রায় ফাঁসের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম এমদাদুল হক রোববার এ আদেশ দেন। ২১ নভেম্বর ফখরুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে সেদিন মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ফখরুলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।
রিমান্ড শুনানিতে ফখরুলের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া প্রমুখ।
রিমান্ড শুনানিতে আসামি ফখরুল আদালতকে বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য আমাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমার নাম মামলার এজহারে নেই।’
এর আগে বুধবার কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডস্থ নিজস্ব চেম্বার থেকে ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ১০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ১৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেন বিচারকের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ফখরুলের নাম প্রকাশ করেন। এই দুই জনই তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, ফখরুলের পরিকল্পনায় তার সহকারী মেহেদী হাসান পেনড্রাইভের মাধ্যমে রায়ের খসড়া কপি নিয়ে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন।
গণমাধ্যমে স্বীকারোক্তি প্রকাশের পর থেকে ফখরুল হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা ফিরিয়ে দেন। এরপর থেকে অনেকটা পলাতক জীবন-যাপন করছিলেন ফখরুল।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফখরুলের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের আর কোন কোন কর্মচারী ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের আর কোনো সদস্য রায় ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা তা বের করতে ফখরুলকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১ অক্টোবর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেয় আদালত। সেদিন সালাহউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের সামনে রায়ের খসড়া কপি গণমাধ্যমকে দেখান। গণমাধ্যমে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (সংশোধিত ২০১৩) ৫৬ (২), ৫৪ (২) ও ৬৩(২) ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় গ্রেফতার ফারুক ও নয়ন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অপর আসামি ফখরুলের সহকারী মেহেদী এখনও পলাতক রয়েছেন।