ব্যারিস্টার ফখরুলের রিমান্ড স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ট্রাইব্যুনালের আদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে নিম্ন আদালতের দেওয়া চার দিনের রিমান্ড স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার ফখরুলের পক্ষে আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আবেদনের পর তিনি জানান, দুপুর ২টার পরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে।
এর আগে রোববার সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের খসড়া প্রকাশের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় ব্যারিস্টার ফখরুলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ব্যারিস্টার ফখরুলকে তার চেম্বার থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিল হোসেন ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
গত ১০ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
৪ অক্টোবর গ্রেফতার করে ৫ অক্টোবর তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল ডিবি পুলিশ।
গত ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন। আগের রাতে রায়ের খসড়ার অংশ বিশেষ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ও তার স্ত্রী-পুত্ররা কথিত ওই রায়ের বাঁধাই কপি দেখিয়ে রায়টি আইন মন্ত্রণালয়ের করা এবং রায় ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন।
এ ঘটনায় ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থার চেয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন। আদালত এর তদন্তের নির্দেশ দেন ডিবি পুলিশকে।
তদন্তভার পাওয়ার পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ট্রাইব্যুনালের রায় কম্পোজ করা কম্পিউটারটি জব্দ করে অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে।
ফুটেজ দেখে শুক্রবার ট্রাইব্যুনালের মাস্টার রোলে নিয়োগ প্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মচারী (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নয়ন আলীকে (২০) চিহ্নিত করা হয় যে, ওই কম্পিউটার থেকে রায়ের কপি তিনিই বের করে নিয়ে যান।
নয়নকে গ্রেফতারের পর তিনি রায় ফাঁসের খসড়া কপি পেনড্রাইভে নিয়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানকে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
তার বক্তব্য অনুসারে এ ঘটনায় জড়িত বলে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয় ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদকে।পরে যে কম্পিউটারে এ রায়ের কপি ট্রান্সফার করা হয়েছে সেই কম্পিউটার জব্দ করে পুলিশ। ডিবি পুলিশ নয়ন আলী, ফারুক ও মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি
করে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ এবং ৬৩ ধারায় অপরাধ মামলা করে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ